ক্রীড়া প্রতিবেদক
কদিন আগে চীনা ডিং লিরেনকে হারিয়ে দাবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ভারতের ডি গুকেশ। প্রথম ভারতীয় এবং সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড গড়েন ১৮ বছর বয়সী এই দাবাড়ু।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পুরস্কার হিসেবে ভারতীয় মুদ্রায় ১১ কোটি ৪৫ লাখ রুপি জিতেছেন ডি গুকেশ। এত টাকা কিভাবে খরচ করবেন সেই পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন সর্বকনিষ্ঠ এই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু।
দেশটির সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, এক সময় টাকার অভাবে গুকেশের দাবা খেলা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। বিপুল খরচ সামলাতে পারছিলেন না তার বাবা-মা। কয়েক জনের সহায়তায় সেই আর্থিক সঙ্কট সামলেছিল গুকেশের পরিবার।
সেটি নিয়ে বিশ্বজয়ী দাবাড়ু বলেছেন, ‘বাবা-মায়ের জন্য খুবই আনন্দ হচ্ছে। আমার জন্য তাদের প্রচুর লড়াই করতে হয়েছে। যাতে আমি খেলা চালিয়ে যেতে পারি, সে জন্য নিজেদের সব কিছু উজাড় করে দিয়েছেন বাবা-মা। সে জন্য নানা সময় আর্থিক সমস্যার মধ্যেও পড়তে হয়েছে আমাদের পরিবারকে।’
কীভাবে সমাধান হয়েছে সেই সমস্যার? কোনও স্পন্সর পেয়েছিলেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে গুকেশ বলেন, ‘তেমন কোনো স্পন্সর ছিল না আমার। বাবা-মায়ের কলেজ এবং অফিসের অনেক বন্ধু এগিয়ে এসেছিলেন। তারা আমাকে স্পন্সর করতেন। আমার সব খরচ চালাতেন। তাই এই পুরস্কার মূল্যটা আমার কাছে অনেক কিছু। এই টাকা বাবা-মাকে আর্থিক স্থিতি দেবে। যারা সঙ্কটের সময় সাহায্য করেছিলেন, তারাও নিশ্চয়ই খুশি হবেন।’
বিশ্বজয়ী দাবাড়ু আরও বলেছেন, ‘টাকার সমস্যা মিটবে। বাবা-মা মানসিক শান্তি পাবেন। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান। সত্যি বলতে কখনও ভাবিইনি এত টাকা পেতে পারি। এখন বুঝতে পারি টাকার প্রয়োজন জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বর যে উপহার দিয়েছেন, তা দিয়ে নিজেদের সার্বিক উন্নতির চেষ্টা করব। পাশাপাশি সম্ভাবনার সর্বোচ্চ পর্যায় পৌঁছানোর চেষ্টাও করব।’ পুরস্কার মূল্যের সবটা বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিতে চান গুকেশ।
দাবা বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে গুকেশের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন চীনের গ্র্যান্ডমাস্টার ডিং লিরেন। ১৩তম গেম পর্যন্ত দু’জনের পয়েন্ট ছিল ৬.৫। ১৪তম গেমে লিরেনকে হারিয়ে ভারতের দ্বিতীয় দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ১৮ বছর বয়সী এই দাবাড়ু।