পবিত্র কোরআনকে আল্লাহ তায়ালা অনেক মর্যাদা দিয়েছেন। মর্যাদা দিয়েছেন যারা এই গ্রন্থের ধারক বাহক হবে তাদেরকেও। পৃথিবী জুড়ে বাংলাদেশী হাফেজদের আলাদা সুনাম সুখ্যাতি রয়েছে। দিন যত যাচ্ছে বাংলাদেশের মানচিত্র ও পতাকাকে এসব হাফেজরা আরো সমুন্নত ও সম্মানিত করছেন। শতাধিক দেশের হাফেজদেরকে পরাজিত করে যখন এ দেশের একজন হাফেজ পুরস্কার প্রাপ্ত হন তখন গর্বে বুকটা ভরে যায়। সন্দেহ নেই এসব হাফেজরাও আমাদের দেশের জাতীয় সম্পদ।
আজ এমন একজন হাফেজে কোরআনের কথা বলবো, যিনি নিজেও একজন ভালো মানের হাফেজ এবং ক্বারী। পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক মানের অসংখ্য হাফেজ গড়ে তুলছেন। তিনি ইসলামিক ফাউণ্ডেশন এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে ২০০৯ সালে পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াতের জন্য স্বর্ণ পদক পুরস্কার লাভ করেন।
এছাড়াও তার কণ্ঠে পবিত্র কোরআনের সম্পূর্ণ ৩০ পারা তিলাওয়াত ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি দীর্ঘ ১১ বছর যাব প্রতি রমজানে বাংলাদেশ বেতারে মাসব্যাপী পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করে আসছেন। এই গুণী ব্যক্তির নাম হাফেজ ক্বারী মাহমুদুল হাসান।
মাহমুদুল রাজশাহী শহরের হাফেজ ক্বারী মোহাম্মদ শরিফ উদ্দীনের ছেলে। হাফেজ ক্বারী মাহমুদুল হাসান নূরানী কায়েদা থেকে পবিত্র কোরআনের হিফজ পর্যন্ত পুরোটাই সম্পন্ন করেছেন বাবার কাছে। পরিবারে তিন ভাই চার বোনের মধ্যে মাহমুদুল হাসান সবার বড় ।
ক্বারী মাহমুদুল হাসান ২০১২ সালে রাজধানীর উত্তরার জামিয়াতুস সাহাবা মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। এরপরে আন্তর্জাতিক মানের হাফেজ গড়ার উদ্দেশে আন্তর্জাতিক ক্বারী হাফেজ নাজমুল হাসান সাহেব এবং হাফেজ ক্বারী মাহমুদুল হাসান সহ কয়েকজন মিলে প্রতিষ্ঠা করেন তাহসিন ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসা। তিনি বাংলাদেশ হিফজ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও প্রশিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন।
এ ছাড়াও ২০১৭ সালে কাতার এবং ওমানে, ২০১৮ সালে সৌদি আরবে এবং ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত হন।
হাফেজ ক্বারী মাহমুদুল হাসান বলেন, জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমি পবিত্র কোরআনের খেদমত করে যেতে চাই। এ দেশে হাফেজে কোরআনদের পর্যাপ্ত সম্মান দেয়া হয় না অভিযোগ করে তিনি বলেন, শতাধিক দেশের মেধাবী হাফেজদের পরাজিত করে বাংলাদেশী হাফেজরা পুরস্কার প্রাপ্ত হয়। এতে বাংলাদেশের সুনাম হয় এবং অন্যদেশের কাছে এ দেশের গুরুত্ব ও সম্মান বাড়ে।
এসআই/এমএম