নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে, গত এক বছরে দেশের মোট ১৯.৩১ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো ধরনের বৈষম্য বা হয়রানির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে নারীদের মধ্যে এই হার কিছুটা বেশি, যা ১৯.৬২ শতাংশ, যেখানে পুরুষদের মধ্যে তা ১৮.৯৭ শতাংশ। মানুষেরা পরিবার-গণপরিবহনে সব থেকে বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) রিপোর্ট প্রকাশ করে।
ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সময়ে দেশব্যাপী ৬৪ জেলার ১ হাজার ৯২০টি প্রাইমারি স্যাম্পলিং ইউনিট থেকে ৪৫ হাজার ৮৮৮টি থানার ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট ৮৪ হাজার ৮০৭ জন নারী-পুরুষ উত্তরদাতার সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরিপে নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিরাপত্তা, সুশাসন, সরকারি সেবার মান, দুর্নীতি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার এবং বৈষম্য বিষয়ক এসডিজি ১৬ এর ছয়টি সূচকের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়েছে।
জরিপের প্রশ্নপত্র জাতিসংঘ থেকে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক মান ও পদ্ধতি অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে।
বিবিএস জানায়, শহরাঞ্চলে বৈষম্যের হার ২২.০১ শতাংশ, যা গ্রামাঞ্চলের ১৮.০৭ শতাংশের তুলনায় বেশি। এক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক অবস্থা ৬.৮২ শতাংশ এবং লিঙ্গভেদে ৪.৪৭ শতাংশ বৈষম্য হয়রানির হার সর্বাধিক। নিজের পরিবারের মধ্যে ৪৮.৪৪ শতাংশ, গণপরিবহন/উন্মুক্ত স্থানে ৩১.৩০ শতাংশ এবং কর্মস্থলে ২৫.৯৭ শতাংশ মানুষ বৈষম্য বা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তবে এরমধ্যে মাত্র ৫.৩৫ শতাংশ ভুক্তভোগী এসব ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করেছেন।