বর্তমান সময় ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিরাজগঞ্জে মুরগির বাচ্চা বহনকারী একটি কার্ভাডভ্যান পোড়ানো হয়েছে। এতে সাত হাজার মুরগির বাচ্চা পুড়ে গেছে। এখন মুরগির বাচ্চাও তাদের (বিএনপি) শত্রু। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট। নাশকতা, গুপ্ত হামলার আজকের যে ভয়াবহ চিত্র, সেটা নতুন নতুন রেকর্ড স্থাপন করছে তারা।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল পর্যন্ত পায় ৬০০ যানবাহন পোড়ানো হয়েছে। দশটি ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। বিএনপির আন্দোলন-অগ্নিসন্ত্রাসে পুলিশবাহিনী সদস্য, পরিবহন শ্রমিক, রাজনৈতিক কর্মীসহ কয়েকজন মারা যাওয়ার পাশাপাশি ২৫০ জন মানুষ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরা যখন মুরগির বাচ্চাকেও টার্গেট করেছে, এদের গুপ্ত হামলার টার্গেট আরো বিস্তৃত হতে পারে। আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। নির্বাচন বানচালের জন্য এরা মরিয়া হয়ে উঠছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, সেটি বানচালের জন্য ওরা ততই মরিয়া হয়ে উঠছে। মরণ কামড় দিতে চাইছে। সে কারণেই আজকে নির্বাচনমুখী যে রাজনৈতিক দল আছে, যাদের সঙ্গে আমাদের আগে জোট ছিল, মহাজোট ছিল, তাদের সঙ্গে আমরা আমাদের সহযোগিতা, তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো জোরদার করার তাগিদ অনুভব করছি। আমরা ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি, জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আলোচনা করেছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন যে, যারা আমাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে, তাদের থেকে আমরা কোনো পণ্য কিনব না। এটা প্রধানমন্ত্রীর নিজের কথা। আন্তর্জাতিক বিশ্বে যে টানাপড়েন আছে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের যে অবস্থা, গাজাতে যে হামলা চলছে, সত্যি কথা বলতে সেখানে গণহত্যা চলছে। ইউক্রেনের প্রশ্নেও আমেরিকার যে ফান্ড এবং অস্ত্র সরবরাহের যে অবাধ একটা সুযোগ ছিল, সেটি এখন তাদের কংগ্রেসে প্রচণ্ড বাঁধার সম্মুখীন। সেটি আজকেও আমরা খবরে দেখলাম।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় অনেকগুলো বিবৃতি দেওয়ার একটা ব্যাপার ছিল। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশ এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের মতের সঙ্গে বিরূপ বক্তব্য দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে টানাপড়েন আছে। বিদেশে আমারও বন্ধুহীন নই, আমাদেরও বন্ধু আছে। আমাদের বন্ধুরাও বাংলাদেশের খোঁজ-খবর রাখে। সেসব বিদেশিরাও জানেন, সাংবিধানিক রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্বাচন করছেন এবং নির্বাচনের পথে হাঁটছেন। এর কারণ হলো দেশটা যেন আবদ্ধে ডুবে না যায়।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএসডি/আরপি