চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এটা কোনো ইলেকশন নয়, বানরের পিঠা ভাগাভাগির সিলেকশন। তিনি বলেন, দেশের জনগণ, সব বিরোধী দলের বিরোধিতা এবং আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান উপেক্ষা করে সরকার একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করার আত্মঘাতী খেলায় মেতে উঠেছে। আওয়ামী লুটেরা চক্র এবং তাদের দোসররা এখন এমপি হওয়ার জন্য জনগণের কাছে নয়, গণভবনের দিকে ছুটছেন।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনে চট্টগ্রামে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সিএমইউজে সভাপতি মো. শাহনওয়াজ ও চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে মানবতা ও মানবাধিকারের কোনো মূল্য নেই। আওয়ামী লীগ সরকার এখন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য স্বৈরশাসকে পরিণত হয়েছে। তারা দেশ থেকে ন্যায়বিচার দূর করে দিয়েছে। সরকার নিষ্ঠুর দমনপীড়ন চালিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, তারা দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস শুধু একদিন নয়, সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের জন্য এখন প্রতিদিনই মানবাধিকার দিবসে পরিণত হয়েছে। আজ গুম, খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা তাদের কথা বলতে পারে না।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সরকার রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে এমনভাবে টিকে থাকতে চায়, যাতে তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দও করতে না পারে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেশকে মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। গুটিকয়েক উচ্ছিষ্ট ও দল থেকে বিতাড়িত কিছু জনধিকৃতকে নেতাকে টাকার বিনিময়ে ভাগিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন লোক ভাগাভাগির দলে পরিণত হয়েছে। তাই দেশকে এ অপশক্তির হাত থেকে বাঁচাতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণপ্রতিরোধকে আরও শানিত করতে হবে।
তিনি ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে মুসলমানদের নৃশংস হত্যায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আইনের নামে সরকার যা করছে, তা বেআইনি সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছু নয়। তাই দেশের জনগণ আওয়ামী ভাগবাটোয়ারার পাতানো নির্বাচনে কোনো সহযোগিতা করবে না। মানুষ এই একতরফা নির্বাচন বর্জন করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, মামলা দিয়ে রাজনীতিবিদদের দমন করা যায় না। এতে তাদের জনপ্রিয়তা বাড়ে। বিএনপি ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করছে। বর্তমানে যে অবস্থা চলছে, তার পরিবর্তন হবেই। ভোটের মাধ্যমে বিএনপি সেই পরিবর্তন আনবে।
বিএসডি / এলএম