আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী অন্য ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি ঘৃণা এবং ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব পোষন করেন, তাদেরকে শনাক্ত ও দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেৃতত্বাধীন প্রশাসন। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প স্বাক্ষরও করেছেন।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযান চলাকালে যুদ্ধ বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনের পর দিন বিক্ষোভ হয়েছে। সেসব বিক্ষোভ-সমাবেশে মার্কিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন অনেক বিদেশি শিক্ষার্থীও।
ট্রাম্প প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী এসব বিক্ষোভ ও সমাবেশে অংশ নিয়েছিল— আপাতত তাদেরকেই ‘টার্গেট’ বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশকে স্বাগত জানিয়েছে চারটি মার্কিন-ইহুদি সংস্থা। এ সংস্থাগুলো হলো মাদারস অ্যাগেইনস্ট কলেজ অ্যান্টিসেমিটিজম (মাকা), শিকাগো জিউইশ অ্যালায়েন্স, বেটার এবং শিরিয়ন কালেকটিভ সার্ভেইলেন্স নেটওয়ার্ক। মাকার প্রতিষ্ঠাতা সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী ভিসায় এদেশে এসে আমাদের সন্তানদের হয়রানি করছে, তাদেরকে অবশ্যই নিজ দেশে ফেরত পাঠানো উচিত।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী ইসরায়েলের ভূখন্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ১৫ মাস ধরে ভয়াবহ অভিযান চলার পর অবশেষে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।
গাজায় অভিযান চলাকালে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এ অভিযান বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। দিনের পর দিন ধরে চলা এসব সমাবেশে যোগ দেন শত শত শিক্ষার্থী। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে মার্কিন এবং বিদেশি— উভয়েই ছিলেন।
কট্টরপন্থি মার্কিন ইহুদি সংগঠন হিসেবে পরিচিত সংস্থা বেটার এক্ষেত্রে আরও এক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে। সংগঠনটির মুখপাত্র ডেভিড লেভি জানিয়েছেন, যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের একটি তালিকা ট্রাম্প প্রশাসনকে হস্তান্তর করেছে বেটার। সেই তালিকা অবশ্য রয়টার্সকে দেখাতে চাননি তিনি, তবে বলেছেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের এ উদ্যোগে আমরা খুশি।”
এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার, পররাষ্ট্র এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে কোনো মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সূত্র : রয়টার্স