দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমারকে ছাড়াই খেলতে হবে—আজ ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালটা এই দুঃসংবাদকে সঙ্গী করে শুরু করে পিএসজি। ব্রাজিলিয়ান তারকার এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ফ্রান্সের অলিম্পিক কমিটি কাছে আপিল করেছিল প্যারিসের ক্লাবটি। টেকেনি সেই আপিল।
তবে তাতে অসুবিধা হয়নি মরিসিও পচেত্তিনোর ক্লাবের। এমবাপ্পে জাদুতে স্তাদ দে ফ্রান্সে ফাইনালে মোনাকোকে ২–০ গোলে হারিয়ে ১৪তম বারের মতো ফ্রেঞ্চ কাপের শিরোপা জিতেছে পিএসজি। তাতে ফ্রেঞ্চ কাপ জয়ের রেকর্ডে আরেকটি সংখ্যা বেড়েছে পিএসজির। লিগ ‘আঁ’ নিয়ে সংশয় থাকলেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফ্রেঞ্চ কাপ জিতল পিএসজি।
পিএসজির হয়ে একটি গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, করিয়েছেন আরেকটি। ১৯ মিনিটে মোনাকো ডিফেন্ডার অ্যাক্সেল দিসাসির ভুলে বলে পেয়ে গোলকিপার একা পেয়ে যান এমবাপ্পে। গোলরক্ষক এগিয়ে এসে জায়গা ছোট করে ফেললে এমবাপ্পে ডান পাশে ফাঁকায় এগিয়ে আস ইকার্দিকে পাস দেন। আর্জেন্টাই স্ট্রাইকার গোল করতে ভুল করেননি।
৮০ মিনিটে অল্পের জন্যই গোল পাননি এমবাপ্পে। বক্সের অনেকে বাইরে থেকে তাঁর ডান পায়ের শটটি লাগে ক্রসবারে। এক মিনিট পরেই দারুণ এক গোল করেই ওই দুঃখ ভোলেন বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি তারকা। আনহেল দি মারিয়ার থ্রু ধরে আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন এমবাপ্পে।
প্রায় একক নৈপূণ্যে দলকে জেতালেও ম্যাচশেষে এমবাপ্পে দলীয় চেষ্টার জয়গানই গেয়েছেন, ‘এই আবেগ, পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেতে আমরা প্রতিদিন পরিশ্রম করেছি। এই চেষ্টা সবার। আপনি যখন পিএসজির মতো বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে খেলবেন, এই দেশের সবচেয়ে বড় ক্লাবে খেলবেন জানবেন প্রতিটি শিরোপাই ইতিহাসের পাতায় যোগ হবে। আমরা সেই গল্পের অংশ হতে চাই।’