বর্তমান সময় ডেস্ক:
রুক্ষ, শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় অ্যালোভেরার কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। ত্বকের যত্নে অনেকেই নিয়মিত অ্যালোভেরার রস বা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু জানেন কি ওজন কমাতেও সাহায্য করে অ্যালোভেরা? যারা প্রতিদিনই নিজের ওজন নিয়ে চিন্তা করেন তারা শুধু অ্যালোভেরার রস খেয়েই কমাতে পারেন ওজন।
অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যালোইন নামের প্রোটিন যা সরাসরি ফ্যাট না কমালেও শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। তবে খাওয়ার আগে একটা বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
অ্যালোভেরার রস কিন্তু বেশি পরিমাণে খেলে পেটের সমস্যা, ডায়রিয়া হতে পারে। তাই অ্যালোভেরার রস খান সঠিক পরিমাণে। কিন্তু কি পরিমাণে খাবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন? তবে জেনেন নিন এটি খাওয়ার সঠিক পরিমাণ।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ওজন কমাতে অ্যালোভেরা ব্যবহারের পাঁচটি পন্থা সম্পর্কে জানানো হল।
কমলা, স্ট্রবেরি এবং অ্যালো ভেরার স্মুদি: স্ট্রবেরিতে ক্যালরির পরিমাণ কম এবং এটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ। এটা ওজন কমাতেও সহায়তা করে। স্ট্রবেরি খুব ভালো পরিষ্কারক। কমলা, অ্যালোভেরা ও স্ট্রবেরি একসঙ্গে খুব ভালো অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে: অ্যালোভেরার রস শরীরের বিষাক্ত উপাদান দূর করে। এতে থাকা পটাশিয়াম যকৃত ও কিডনিকে পরিশোধনের কাজে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অ্যালোভেরা ও লেবুর রস মিশিয়ে জুস তৈরি করে পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে।
সংক্রমণ দূর করতে: এর প্রদাহরোধী উপাদান পেট পরিষ্কারের মাধ্যমে নানান সমস্যা দূর করে এবং সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে অ্যালেভেরা।
অ্যালোভেরা এবং আদার চা: দুপুর বেলার জন্য খুব ভালো পানীয় এটা। আদাতে আছে ফাঙ্গাস ও ব্যাক্টেরিয়া রোধী উপাদান। এটা হজমে সাহায্য করে ও শরীরের পানি জমার পরিমাণ কমায়। অ্যালোভেরা ও আদা একসঙ্গে শরীরের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
হজমে সাহায্য করে: এই জুসে ‘ল্যাক্সাটিভ’ উপাদান থাকায় হজম প্রক্রিয়া সক্রিয় হয়। এটা প্রতিরক্ষী ব্যাক্টেরিয়াকে সক্রিয় রাখে এবং পয়ঃক্রিয়ায় সহায়তা করে। পেটে আলসারের সমস্যায় অ্যালো ভেরা জুস পানে উপকার পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরার পানীয় খাওয়ার কোনো ক্ষতিকারক দিক নেই। তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। এক গ্লাস পানিতে ৫০ মি.লি. অ্যালো ভেরা জুস মিশিয়ে পান করা উচিত। অতিরিক্ত পান নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে যেমন- ইলেক্ট্রলাইট, পেশির টান, বমি বমিভাব এবং ডায়ারিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি এ ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দেয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
নিষেধ যাদের
‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব ডার্মাটোলজি’র তথ্য অনুযায়ী, গর্ভবতী এবং যে সকল মা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান তাদের অ্যালোভেরার জুস খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা থাকে। এই জুস খাওয়ার পরে কোনো রকমের অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিলে তা আর খাওয়া ঠিক হবে না।
বিএসডি/ এলএল