আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ওপেন স্কাই ট্রিটি থেকে বেরিয়ে গেছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯২ সালে এই চুক্তি সই হয় এবং ২০০২ সালে তা কার্যকর হয়। চুক্তিতে সই করেছিল আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপীয় দেশগুলো এবং কানাডা।
এ চুক্তির আওতায় সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য স্বল্প সময়ের নোটিশে এসব দেশ পরস্পরের ভূখণ্ডে বিমান পাঠানোর সুযোগ পায়। মূলত রাশিয়া ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে এই চুক্তি সই করা হয়। কিন্তু ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ক্ষমতার শেষ দিকে এ চুক্তি থেকে আমেরিকাকে বের করে নেন। এরপর রাশিয়া এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেল এবং এজন্য ওয়াশিংটনকে সম্পূর্ণভাবে দায়ী করেছে।
বিবৃতিতে রাশিয়া বলেছে, আমেরিকার মিত্রদেশগুলো রাশিয়ার ওপর গোয়েন্দা বিমান পরিচালনা করার পর প্রাপ্ত তথ্য ওয়াশিংটনকে দেবে না বলে নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেল।
রুশ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “আমেরিকা ও রাশিয়ার অংশগ্রহণ না থাকার কারণে এই চুক্তির কার্যকারিতা নাটকীয়ভাবে কমে যাবে। ওপেন স্কাই চুক্তি ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দায়ী।”
এই চুক্তি থেকে আমেরিকা বেরিয়ে যাওয়ার পরেও ছাড় দিয়ে সমস্যার সমাধান করার জন্য রাশিয়া সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং আমেরিকারকে চুক্তিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো চেষ্টাই সফল হয়নি। নিজের জাতীয় নিরাপত্তা বিনষ্টের ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়ার পর রাশিয়া চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে।
আমেরিকা চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর চলতি বছরের জুন মাসে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি আইনের খসড়ায় সই করেছিলেন যার মধ্যদিয়ে এই চুক্তিতে টিকে থাকা অন্য সদস্য দেশগুলোর জন্য ছয় মাসের নোটিশ দেয়া হয়। সেই ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার পর রাশিয়া চূড়ান্তভাবে এখন থেকে বেরিয়ে গেল।
সূত্র:পার্সটুড
বিএসডি/ এলএল