খেলাধূলা প্রতিনিধি:
টানা তিন সেঞ্চুরির পর চতুর্থ সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বাবর আজম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইতিহাস ছোঁয়া হয়নি। তবে ইমাম-উল-হকের সঙ্গে দারুণ জুটিতে দলকে এনে দেন লড়াইয়ের পুঁজি। এরপর বাকি কাজ সারেন বোলাররা। বিশেষকরে বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয় ক্যারিবিয়ানরা। ফলে বড় জয়েই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।
মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২০ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭৫ রান করে তারা। জবাবে ৩২.২ ওভারে ১৫৫ রান তুলেই গুটিয়ে যায় সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ৪ রানেই শাই হোপকে ফেরান শাহিন শাহ। এরপর অবশ্য কাইল মেয়ার্স ও শামারাহ ব্রুকস দলের হাল ধরা চেষ্টা চালান। দ্বিতীয় উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৬৭ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই নাওয়াজের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। আর লেজ ছাঁটাই করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেন ব্রুকস। এছাড়া মেয়ার্স ৩৩ ও অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ২৫ রান করেন। পাকিস্তানের পক্ষে ১০ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান খরচ করে ৪টি উইকেট পান নাওয়াজ। এছাড়া ওয়াসিম ৩টি ও শাদাব কান ২টি শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৫ রানে ওপেনার ফখর জামানকে হারায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে ইমামের সঙ্গে ১২০ রানের জুটি গড়েন বাবর। ইমাম আউট হলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়ে আউট হন অধিনায়ক।
এদিন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আকিল হোসেনের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাবর। তাতে অনন্য রেকর্ড ছোঁয়া হয়নি তার। এর আগে টানা তিনটি সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। এদিন সেঞ্চুরি পেলে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারার রেকর্ড স্পর্শ করতে পারতেন তিনি।
এছাড়া ইমাম খেলেন ৭২ রানের ইনিংস। ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে ৫২ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন আকিল। এছাড়া ২টি করে উইকেট পান আলজেরি জোসেফ ও অ্যান্ডারসন ফিলিপ্স।
বিএসডি/ এমআর