মহামারি করোনা ভাইসারের মধ্যেও রেকর্ড সংখ্যক বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে দেশে। এর পরিমাণ ৪৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মঙ্গলবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত বছরের তুলনায় বৈদেশিক রিজার্ভের প্রবৃদ্ধি ৩৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি।
২০২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসে রিজার্ভের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।
২০২১ অর্থবছরের মে মাসে ২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
পয়লা জুলাই থেকে ৩১ মে পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে ২২ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। অথচ ২০২০ অর্থবছরের মে মাসে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল।
গত বছরের জুলাই থেকে মে মাসে দেশে মোট রেমিটেন্স এসেছিল ১৬ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী এক লাখ টাকা দেশে পাঠালে এর সঙ্গে আরও দুই হাজার টাকা যোগ করে মোট এক লাখ দুই টাকা পাচ্ছেন তারা।
এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ দেওয়ার অফার দিচ্ছে। এতে করে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন বিদেশে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসছে, রপ্তানিও বেড়েছে। এছাড়াও আমদানি ব্যয়ের চাপ কম, দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা এবং বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।