নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও পাঁচজন মারা গেছেন। এর মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের মধ্যে চারজন ঢাকা বিভাগের আর একজন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা। এ নিয়ে ২৯ হাজার ২৩০ জনের প্রাণ কেড়ে নিল ভাইরাসটি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪০ জনে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ৮৮০টি ল্যাবরেটরিতে ৭ হাজার ২৪৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলে পরীক্ষা করা হয় ৭ হাজার ৩৫১টি নমুনা।পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ।
মহামারি শুরু থেকে দেশে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৪৪ লাখ ৯১ হাজার ৮১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯৫ লাখ ৩৪ হাজার ১৮১টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার ৬৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।মহামারি শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৮৫৪ জন। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন মোট ১৯ লাখ ২২ হাজার ৯৭৭ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।ডেল্টার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে।
বিএসডি/ এমআর