দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা) পর্যন্ত আরও ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯১৪ জন।
আগের দিন সোমবার দেশে শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৩৫৯ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৯১৪ জন।
এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১১ হাজার ৭০৫ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ জন।
আজ রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ্য হয়েছেন ৩ হাজার ৮৭০ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ্য হয়েছেন ছয় লাখ ৯৫ হাজার ৩২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৭৮ শতাংশ, মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২১ হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯১৪ জন। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর দেশৈ করোনার সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের কথা জানায় সরকার। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে।
গত জুন থেকে আগস্ট—এই তিন মাস করোনার সংক্রমণ ছিল তীব্র। মাঝে নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়লেও বাকি সময় সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। এ বছরের মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি। মাঝে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ্য বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ থেকে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।