নিজস্ব প্রতিবেদক:
আবারও করোনা রোগীতে ভরে যাচ্ছে দেশ। ১ জানুয়ারি দেশে শনাক্ত হওয়া সক্রিয় কভিড রোগী ছিল ৮ হাজার ৫২৯ জন। ১ ফেব্রুয়ারি এসে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৭৮ জনে। এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ২৪ গুণ। এ ছাড়া গত ডিসেম্বরে করোনায় মৃত্যু হয় ৯১ জনের। জানুয়ারিতে প্রাণ হারান ৩২২ জন। মৃত্যু বেড়েছে আড়াই গুণের বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ১৫৪ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৭২১ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৩১ জন। সুস্থ ও মৃত বাদে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ১০ হাজার ৪০২ জন। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৪৫ হাজার ৯৩ জনের। শনাক্তের হার ছিল ২৯.১৭ শতাংশ।
গত ১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশে শনাক্ত হওয়া মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯০৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৩০৪ জন। মারা গেছেন ২৮ হাজার ৭৬ জন। সক্রিয় রোগী ৮ হাজার ৫২৯ জন। গতকাল ১ ফেব্রুয়ারির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মোট শনাক্ত রোগী ১৮ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৯৩৪ জন। মারা গেছেন ২৮ হাজার ৪২৫ জন। মোট সক্রিয় রোগী ২ লাখ ১২ হাজার ৬২৮ জন। এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ৯৯ জন। অন্যদিকে ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে সক্রিয় রোগী বেড়েছিল ১ হাজারের কিছু বেশি। মহামারীকালে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সর্বোচ্চ শনাক্ত হার ছিল গত ২৮ জানুয়ারি ৩৩.৩৭ শতাংশ।
এদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাসে দেশে কভিড রোগী শনাক্ত হয় ৮৪ হাজার ৯২১ জন। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতেই শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৯৪ জন। গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে মোট মৃত্যু হয় ২০৪ জনের। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩২২ জন। জানুয়ারিতে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে ২৩৪ জনই (৭২.৭ শতাংশ) টিকা নেননি। ৮৮ জন (২৭.৩ শতাংশ) টিকা নেওয়ার পরও প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ জন প্রথম ডোজ, ৬৮ জন দ্বিতীয় ডোজ ও দুজন তৃতীয় ডোজ টিকা পেয়েছিলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩১ জনের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন পুরুষ ও ১৬ জন নারী। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃতদের মধ্যে শতবর্ষী বৃদ্ধ থেকে ২০ বছরের কম বয়সী কিশোরও ছিলেন। সর্বোচ্চ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এর মধ্যে ১৩ জনই ছিল ঢাকা জেলার। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে সাতজন, সিলেট বিভাগে দুজন এবং একজন করে মারা গেছেন রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগে।
বিএসডি/ এলএল