করোনা-পরবর্তী কিছু জটিলতায় ভুগছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার ফুসফুস থেকে তরলজাতীয় পদার্থ অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া, নিয়ন্ত্রণে থাকছে ডায়াবেটিস, কিছুটা কমেছে অক্সিজেনের মাত্রাও। দলটির একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় তার শারীরিক অবস্থা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ফুসফুস থেকে যে তিন ব্যাগ ফ্লুইড বের করা হয়েছে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে অন্য কোনো রোগের জীবাণু পাওয়া যায়নি।
ওই সূত্র বলছেন,ওই জটিলতাগুলো কমবয়সীদের ক্ষেত্রে গুরুতর না হলেও বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার জন্য শঙ্কার কারণ হতে পারে। তাই জটিলতাগুলো দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। এজন্য তাকে কিছু নতুন ওষুধও দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, আপাতত হাসপাতালে রেখেই তাকে চিকিৎসা দেওয়া হবে। খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তার চিকিৎসক বলেন, করোনায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন, সেরে ওঠার পর তারা কমবেশি সবাই কিছু না কিছু জটিলতায় ভোগেন। যাকে ‘পোস্ট কোভিড কমপ্লিকেশন’ বলা হয়ে থাকে। খালেদা জিয়ারও সেটিই হয়েছে। তার বয়স হয়েছে। আগে থেকেই বেশ কিছু অসুস্থতা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শারীরিক যে অবস্থা, তাতে আমরা আশা করছি, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
প্রসঙ্গ,খালেদা জিয়া গত ১১ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন। গত ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত সোমাবার শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এখনো সেখানেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।