আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ফের বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজারের বেশি মানুষ। এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে ভারত রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানেই।
এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ কোটি ৩৮ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৭৯ হাজার।
শনিবার (৩ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ২৫৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে দুইশোর বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৯ লাখ ৭৯ হাজার ৪৪৬ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯০১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৯ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৭৯ হাজার ৪০১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২০ হাজার ৯৮০ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৮৭৯ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ হাজার ১৬৫ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৮৬ লাখ ৮৭ হাজার ১৬৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ২২ হাজার ৬৮ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৯৭ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৫ লাখ ১ হাজার ১৮৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ১ হাজার ৬৮ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৪৮ জন, রাশিয়ায় ৫৫ লাখ ৬১ হাজার ৩৬০ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৮ লাখ ৫৫ হাজার ১৬৯ জন, ইতালিতে ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৫৮২ জন, তুরস্কে ৫৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮৩৫ জন, স্পেনে ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৮ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার ৬১১ জন এবং মেক্সিকোতে ২৫ লাখ ২৫ হাজার ৩৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ১৩৫ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৩৬ হাজার ৫৬৫ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ১৮৯ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৬১৫ জন, তুরস্কে ৪৯ হাজার ৮২৯ জন, স্পেনে ৮০ হাজার ৯১১ জন, জার্মানিতে ৯১ হাজার ৫৭৩ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৩৩ হাজার ২৪৮ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
বিএসডি/সোহাগ