নিজস্ব প্রতিবেদক,
লকডাউনে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম আদালত ভবনে অধিকাংশ আইনজীবীর কক্ষে ঝুলছে তালা।
চট্টগ্রাম আদালত ভবনে অনেক আইনজীবীর কক্ষ বন্ধ থাকলেও ভার্চুয়াল মামলা পরিচালনার জন্য কয়েকজন আইনজীবী এলেও নেই তেমন কোনও কাজ নেই।
সময়ের পরিক্রমায় অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে টাইপ মেশিন। একসময় চট্টগ্রাম আদালত পাড়ায় শতাধিক টাইপরাইটার কাজ চললেও এখন তা ২৫-৩০টিতে দাঁড়িয়েছে। চলমান লকডাউন ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিলুপ্তপ্রায় এই পেশায় নিয়োজিতদের কাছে। এখন ৫-৬ জন নিয়মিত আদালতে এলেও দিন শেষে এক-দুইশ টাকা আয় করে বাড়ি ফিরেন রোশান দাশের মতো টাইপরাইটাররা।
শিশু ও নারী নির্যাতন আদালত ভবনের বাইরে কয়েকজনের টাইপরাইটারের চেয়ার-টেবিল বৃষ্টিতে ভিজে আর রোদে শুকাচ্ছে।
আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণায় দিনভর মুখরিত থাকতো চট্টগ্রাম আদালত পাড়ার আইনজীবী ভবন, চীফ জুডিশিয়াল আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, শিশু ও নারী নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল। এখন সবখানেই শুধুই নীরবতা।
আদালত ভবনের অনুলিপি শাখায় একজন কর্মকর্তা উপস্থিত আছেন। সেখানেও নেই স্বাভাবিক দিনের মতো কর্মমুখরতা। চেয়ারগুলোতে জমেছে ধুলার আস্তরণ। সীমিত পরিসরে ভার্চুয়ালি কাজ চলছে আদালতে। কয়েকজন আইনজীবী এসেছেন আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে। কেউ পেপার পড়ে আর কেউ সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। অপেক্ষায় আছেন কখন আবার পুরোদমে আদালত চালু হবে।
আদালতে বিচারিক কার্যক্রম সীমিত থাকায় এবং বিচার কক্ষগুলো বন্ধ থাকায় নেই বিচারপ্রার্থীদের আনাগোনা। চারিদিকে শুধুই নীরবতা।
আদালত পাড়ায় একজন কম্পিউটার অপারেটর সকাল থেকে দোকান খুলেছেন, তবে দুপুর গড়িয়ে গেলেও নেই কোনও গ্রাহকের দেখা। আদালত ভবনে হাত ধোয়ার বেসিনগুলোতেও ময়লা জমেছে।
বিএসডি/আইপি