কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের বহনকারী একটি বিশেষ ফ্লাইট দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও অভিবাসন পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানান, গত বুধবার তারা একটি বিশেষ ফ্লাইটের অনুমতি নিয়েছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) তাদের দেশ ছাড়ার কথা। জানা গেছে, ফ্লাইটটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ের আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে রওনা দেয়।
চার্টার্ড ফ্লাইটের (ভাড়া করা বিমান) সদস্য ছিলেন আটজন। যাত্রী তালিকা অনুযায়ী দেশ ছেড়েছেন সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সোবহান, তাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই সন্তান, ছোট ভাই সাফওয়ান সোবহানের স্ত্রী ইয়াশা সোবহান এবং তাদের মেয়ে ও দুই পরিবারের তিনজন গৃহকর্মী ডায়ানা হার্নানডেজ চাকানান্দো, মোহাম্মদ কাদের মীর ও হোসনে আরা খাতুন। এর আগে সায়েম সোবহান আনভীরের ছোট ভাই সাফওয়ান সোবহানও দেশ ছাড়েন।
২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ভাড়া বাসা থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ এসে তাকে নামায় ও বিছানায় শুইয়ে দেয়। বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে বলে মোসারাত তার পরিবারকে জানিয়েছিলেন। এই ঘটনায় ওই রাতেই মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা করেন।
এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পরদিন পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন আদালত। আনভীর দেশ ছেড়েছেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী অভিবাসন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলেন, ‘আসামি বাংলাদেশে আছেন। তিনি দুটি পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করে দেশত্যাগের কোনো রেকর্ড নেই।’