নিজস্ব প্রতিবেদক,
দেশের আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় মুঠোফোনে কথা বলছিলেন টেকনাফ থানা পুলিশের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
আদালতে দায়িত্ব অবহেলার কারণে এক এটিএসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের পর ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) পঙ্কজ বড়ুয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান। তিনি বলেন, ঘটনা জানার পর এটিএসআই সাহাব উদ্দিন, কস্টেবল আব্দুল কাদের ও আব্দুস সালামকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি বাকি দুই সদস্য হলেন, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. শাহ নেওয়াজ ও সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এ কে এম রাকিবুর রেজা।
এর আগে, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। কীভাবে ভাইকে হত্যা করা হয়, সেই বর্ণনা আদালতে উপস্থাপন করছিলেন তিনি। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তখন ১৫ আসামি। তাদের মধ্যে রয়েছেন টেকনাফ থানা পুলিশের বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস।
দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ দেখা যায় আসামি প্রদীপ কুমার কাঠগড়ায় বসেই মোবাইল ফোনে কথা বলছেন! সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি এই প্রদীপ কুমার দাস।
বিএসডি/আইপি