নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, একটি সমৃদ্ধশালী গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকারকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায় কমিশন ফ্যাসিবাদী শাসকের পলায়নের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ শাসনের পতন হয়েছে। কিন্তু কাঠামোগত রূপান্তর ছাড়া এ দেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব নয়।
সোমবার (১২ মে) সংসদ ভবনের এল ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আলোচনার শুরুতে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে যেমন মতভিন্নতা রয়েছে তেমনি জাতি ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনে এক ধরনের ঐকমত্যও আছে। তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে, সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাস্ত করতে পেরেছে। একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে অসীম সাহস এবং বীরত্ব প্রদর্শন করেছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ বীরত্ব গাঁথার সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে সবাই মিলে আলোচনা করতে পারছি।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুল মাজেদ আতাহারীর নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দলে দলটির মহাসচিব মাওলানা মূসা বিন ইযহার ছাড়াও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান মাহমুদী, সংগঠন সচিব মাওলানা হাফেজ আবু তাহের খান, অর্থ সচিব আনোয়ারুল কবীর, দপ্তর সচিব মুফতি দীনে আলম হারুনী, প্রচার সচিব আব্দুল্লাহ আল সাইফ খান এবং নির্বাহী সদস্য আমীর জিহাদী উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ নেজামে ইসলামসহ এ পর্যন্ত ৩১ রাজনৈতিক দল কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়।