নিজস্ব প্রতিবেদক,
আসামি হিসেবে কারাগারে যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা তা টেকনাফ থানা পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তার আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত। একই সঙ্গে প্রদীপকে ন্যায্য সুবিধা দিতে আদালতে আবেদন করেন তিনি। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত।
রানা দাশ গুপ্ত বলেন, যে সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা তা দেয়া হচ্ছে না। তাই আবেদন করেছি। আদালত কারা কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী সকল ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
আজ সাক্ষ্য দেওয়া হাফেজ মোহাম্মদ আমিনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাফেজ আমিন মূলত রোহিঙ্গা। তিনি নিজেই জানে না ওই মসজিদের কমিটিতে কারা আছেন। যিনি মসজিদ কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম জানেন না, তিনি কী করে মসজিদের ইমাম হন? তাই আমরা মনে করছি তিনি যা বলেন সব মিথ্যে বলছেন।
হাফেজ আমিনকে রোহিঙ্গা দাবি করে রানা দাশ গুপ্ত বলেন, মূলত সাক্ষী আমিন টেকনাফের শামলাপুরের ২৩নং ক্যাম্পে বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক। যেখানে ক্যাম্প থেকে বের হতেই অনুমতি লাগে সেখানে তিনি কী করে প্রত্যক্ষদর্শী হন।
তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিভিন্ন টালবাহানায় সময় ক্ষেপণ করছেন। অপ্রয়োজনীয় কথা বলছেন যাতে সাক্ষীরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন।
এর আগে, আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার নির্ধারিত দ্বিতীয় ধাপের চারদিনের সাক্ষ্যগ্রহণের তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে। এদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন বাহারছড়ার বায়তুন নুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মোহাম্মদ আমিন। একই সঙ্গে তাকে জেরাও শেষ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদীসহ ৫ জন।
বিএসডি/এএ