আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র আফগানিস্তান দখলের পর ভারতের ভূস্বর্গ খ্যাত উপত্যকা কাশ্মীর ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে সশস্ত্র সংগঠন তালেবানরা। গোষ্ঠীটি বলছে, কাশ্মীর সম্পূর্ণই অভ্যন্তরীণ এবং দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এ নিয়ে তালেবানের মাথা ঘামাতেও বিশেষ কোনো আগ্রহী নয়। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
এ দিকে নয়াদিল্লি মনে করছে, কাশ্মীরে চেষ্টা করলেও কখনও খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না তালেবান। যদিও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপত্যকাটির নিরাপত্তা আরও জোরদার করছে মোদী সরকার।
ইস্যুটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এক সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এএনআইকে জানিয়েছে, কাশ্মীরে নিরাপত্তা এবং নজরদারি দুটি-ই বাড়ানো হচ্ছে। যদিও এই মুহূর্তে কাশ্মীরে বিশেষ কোনো প্রভাব বিস্তারে আফগানদের ক্ষমতা নেই।
গেল রবিবার (১৫ আগস্ট) আফগান রাজধানী কাবুল দখলে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নতুন সরকার গঠন এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। সংকটময় এই পরিস্থিতি ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট একটি মহল। কারণ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-ঝাংভি, লস্কর-ই-তৈবা এখনো আফগানিস্তানে কিছুটা হলেও সক্রিয়।
এএনআইয়ের খবর অনুযায়ী, সশস্ত্র এই জঙ্গি সংগঠনগুলো তালেবান যোদ্ধাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এরই মধ্যে কাবুলের একাংশ এবং নিকটবর্তী বেশ কয়েকটি অঞ্চলে চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।
এ দিকে ঘানি সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার পর মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) প্রথম সংবাদ সম্মেলন করে তালেবান। এতে সংগঠনটির মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, বিশ বছর আগেও আমাদের দেশ মুসলিম রাষ্ট্র ছিল। আজও আমাদের দেশ মুসলিম রাষ্ট্র।
ঐতিহাসিক সেই সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, দীর্ঘ ২০ বছর সংগ্রামের পর আমরা দেশকে মুক্ত করেছি। এখন আমরা বিদেশিদের তাড়িয়ে দিয়েছি। এটা পুরো জাতির জন্য গর্বের একটি মুহূর্ত। আমরা কখনোই বিদেশি কিংবা অভ্যন্তরীণ শত্রু চাই না।
সরকার গঠন প্রসঙ্গে তার দাবি, সরকার গঠনের পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে আফগান জাতির সামনে ঠিক কোন কোন আইন উপস্থাপন করা হবে। শুধু এটা বলতে চাই, আমরা সরকার গঠনে গুরুত্ব সহকারে কাজ করে যাচ্ছি। মূলত এটি শেষ হওয়ার পরে আইন উপস্থাপনের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে।
বিএসডি/এমএম