নিজস্ব প্রতিবেদক:
পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা পৃথক মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের সিইও রিপন মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৪ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ভিত্তিতে গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে কিউকমের সিইও মো. রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করে ডিবি মতিঝিল বিভাগ।
এ বিষয়ে সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর মিন্টু রোডের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, করোনাকালে ই-কমার্স ব্যবসার দ্রুত প্রসার ঘটে। নাগরিকরাও এতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তবে বেশ কিছু বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি। কিউকমও করোনাকালীন তাদের ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু বর্তমানে কিউকমের অনেক ক্রেতাই পণ্য অর্ডার করে মালামাল না পেয়ে প্রতারিত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, রিপন মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, নিজস্ব ব্র্যান্ডিং করার জন্য কিউকম ব্যাপকভাবে মোটরসাইকেল বিক্রি করে। বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে কিউকম লোভনীয় দামে মোটরসাইকেল বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছিল। বাজারে যে মোটরসাইকেলের দাম ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা, সেটি তারা ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দিত। বিপুল সংখ্যক ক্রেতা অর্ডার করে মোটরসাইকেল না পেয়ে হতাশায় ভোগেন।
জানা যায়, অন্যান্য ই-কমার্স সাইটের মতো কিউকমও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতো। প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ কয়েকটি ই-কমার্স সাইটের মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা এবং গ্রেফতারের পর সম্প্রতি অফিস বন্ধ করে দেয় কিউকম। এ ই-কমার্স সাইটটির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের পণ্য সঠিক সময়ে ডেলিভারি না দেওয়াসহ টাকা আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে।
কিউকমের সিইও রিপন মিয়ার ফেসবুক ফেজ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়া থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। সেখানে তিনি মাল্টিলেভেল ও ফুট মার্কেটিংয়ের কোর্স করেছেন এবং সেখানে কিছুদিন ব্যবসাও করেছেন। ২ বছর আগে তিনি দেশে এসে ঢাকার পান্থপথে একটি অফিস ভাড়া করে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের অফিস খুলেন। কিন্তু সেই ব্যবসায় তিনি কোনো লাভ করতে না পারার কারণে অফিসটি বন্ধ করে দেন।