নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া গ্রামে কিস্তির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্বামী। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে গুরুতর আহত নাজমা বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জানা গেছে, উপজেলার কামারখাড়া গ্রামের মিজি বাড়ির আনোয়ার হোসেন আনু তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে অনেক টাকা উত্তোলন করেন। এখন এনজিওগুলো কিস্তির টাকা নিতে এলে নাজমা বেগম তার স্বামী আনোয়ার হোসেন আনুর কাছে টাকা চাইলে তিনি টাকা না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করে আসছিলেন। এ নিয়ে নাজমা বেগম ও আনোয়ারের দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গত ১৫ অক্টোবর রাতে কিস্তির টাকা নিয়ে স্ত্রী নাজমা বেগমকে বেধড়ক মারধর করেন আনোয়ার হোসেন আনু। পরে গত ১৬ অক্টোবর এ নিয়ে টংগিবাড়ী থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন নিহত নাজমা বেগম।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কিস্তির টাকা দেওয়ার কথা বলে কামারখাড়া কবরস্থানের সামনে স্ত্রী নাজমা বেগমকে ডেকে নেন আনোয়ার হোসেন আনু। পরে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে কবরস্থানে ফেলে আনু পালিয়ে যান। গুরুতর আহত নাজমা বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে টংগিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ২টার টার দিকে মারা যান নাজমা বেগম।
এই ব্যাপারে নিহতের সৎ ছেলে ইব্রাহিম বলেন, ‘বাবা ও মায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত কিস্তির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আমার বাবা নেশা করেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় তিনি বিভিন্ন ব্যাংক হতে নেওয়া কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। মা কিস্তির টাকা চাইলে তিনি প্রায়ই তাকে মারধর করতেন। এ নিয়ে মা টংগিবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আজ টাকা দেওয়ার কথা বলে নিয়ে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। আমরা তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।’
এ ব্যাপারে টংগিবাড়ী থানা পুলিশের ইনচার্জ মো. মুহিদূল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। আপনার মুখ হতে প্রথম শুনলাম। খোঁজ নিয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।