মো.মনিরুল ইসলাম
কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তার নাম ইকবাল হোসেন (৩৫)। তাকে গ্রেফতার করতে কয়েক দিন ধরে চলছে অভিযান। তিনি কুমিল্লা নগরীর ১৭নং ওয়ার্ড দ্বিতীয় মুরাদপুর-লস্কর পুকুর এলাকার নূর আহমদ আলমের ছেলে। তার বাবা মাছের ব্যবসা করেন।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ইকবাল হোসেনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পুলিশের একাধিক সংস্থার তদন্তে এবং সিটিটিভির ফুটেজ দেখে ইকবালকে শনাক্ত করা হয়। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলেছে।’
ইকবালের সহযোগী হিসেবে এখন পর্যন্ত অন্তত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে করছে, ইকবাল গ্রেফতার হলেই এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের ওই মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়া যায়। এরপরই দেশের কয়েক স্থানে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ইকবালের মা বিবি আমেনা বেগম জানান, তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। ইকবাল সবার বড়। ১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট তার জন্ম।
বিএসডি /আইপি