নিজস্ব প্রতিবেদক:
নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরবে কুমিল্লা জাদুঘর। শহরের জীবনে গ্রামীণ অনেক পুরনো জিনিস হারিয়ে যাচ্ছে। এসব জিনিস পত্র এ জাদুঘরে আছে। প্রযুক্তির কারণে শিশুরা কৃষি যন্ত্রপাতি, ঢেঁকি, হারিকেন এসবের নামও জানে না। তারা জাদুঘরে আসলে দেখে জানতে পারবে, শিখতে পারবে। এজন্য নগরীর শিশু উদ্যানে আমরা জাদুঘর স্থাপন করেছি।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জাদুঘর উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন কুমিল্লার সিটি মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু।
কুমিল্লা জাদুঘরে রয়েছে তৈজসপত্র, পুরনো ২৫০টি মডেলের তালা, টেপ রেকর্ডার, হাতি, উট ও মহিষের শিং, লাঙ্গল, জোয়াল, মাছ ধরার চাঁই, পুরোনো দা, ৫০ বছর আগের ইট, শিলা। এ ছাড়াও আছে কলের গানের যন্ত্রপাতি, ঢেঁকি, সুপারি কাটার ছড়তা, হারিকেন, লাউয়ের ডুগডুগি, পাললিক শিলা, হুক্কা, ঘোড়ার চামড়ার আসন, নান চাকু, পুরোনো ক্যামেরা, খড়ম। এছাড়াও পুরাতন রেডিও সেট, টেলিফোন সেট, গরুর কাইর, হরিণের মাথা, পুরনো দিনের ক্যামেরা, শ্রমিকদের কাজের লোহার সরঞ্জাম, পিতলের ডেগসহ চার শতাধিক হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী সরঞ্জাম দেখার সুযোগ রয়েছে এখানে।
জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা স্কুল শিক্ষক নাজমুল আবেদীন জানান, নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে প্রাচীন জিনিসপত্র জমাতে থাকি। এগুলো সংগ্রহ করতে বিভিন্ন জেলায় ঘুরেছি। গত ৩০ বছরের পরিশ্রমে এ জাদুঘর। নাম দিয়েছি কুমিল্লা জাদুঘর। গত চার বছর ধরে জাদুঘরটি নিজ বাসায় ছিলো। আজ থেকে নগর উদ্যানে সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জাদুঘর খোলা থাকবে। এখন ৩০০ প্রকারের দুই হাজারের বেশী দুর্লভ সরঞ্জাম এখানে আছে।
বিএসডি/ এলএল