নিজস্ব প্রতিবেদক
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অবস্থিত রাখাইন সম্প্রদায়ের পাড়াগুলো পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় রাখাইনদের জীবনমান উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাংলাদেশের প্রতিটি জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবে—এমনটাই জানান এনসিপির নেতারা।
সোমবার (১৪ জুলাই) কুয়াকাটার কালাচান পাড়ায় এনসিপির ১০ সদস্যর একটি দল রাখাইনদের বর্তমান পরিস্থিতি, সামাজিক অবস্থা এবং দেশ পরিচালনায় তাদের অংশগ্রহণসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ফারজানা দিনা, যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ন মুখ্য সংগঠক মাওলানা সানাউল্লাহ খান এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম ও হাসিব আর রহমানাহ প্রায় ১০ জনের একটি দল উপকূলীয় এই রাখাইন এলাকা পরিদর্শন করেন।
রাখাইনদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদার, কালাচানপাড়ার মাতুব্বর অংকোছান, সিসিইউ ফেডারেশনের সভাপতি মংমিয়াচিং মাস্টার, রাখাইন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন দপ্তর সম্পাদক মেথুস। কালাচানপাড়া, কেড়ানীপাড়াসহ কয়েকটি পাড়ার রাখাইন প্রতিনিধি দল ও রাখাইন তরুণীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে এনসিপির পটুয়াখালীর সমাবেশের অংশ হিসেবে আমাদের এই রাখাইন কমিউনিটি পরিদর্শন। আজকে এখানে এসে তাদের পারিপার্শ্বিক জীবনের গল্প শুনলাম এবং এনসিপি বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ বিনির্মাণে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছি আমরা।
কালাচানপাড়ার মাতুব্বর অংকোছান বলেন, এনসিপি বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের খোঁজ-খবর নিতে এসেছে। তারা আসায় রাখাইন সম্প্রদায় খুশি হয়েছে। আমরাও আমাদের ব্যক্তিগত জীবন এবং আমাদের রাখাইন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দিক তাদের কাছে বলেছি। রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষরাই এই এলাকা আবাদ করেছে একটা সময়, কিন্তু তারা আজ বিলুপ্তির পথে। এরকম নানা বিষয় তাদের কাছে তুলে ধরেছি।