ডেস্ক রিপোর্ট
মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় প্রস্তুতিই অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতি জন্য। তাই যারা মেডিকেলে ভর্তি হতে পারেননি তারা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন।
এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে গতবারের মতো এবারও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ নভেম্বর ২০২১। এ সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করুন।
লিখিত নির্বাচনী পরীক্ষা
ক. MCQ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৭ নভেম্বর ২০২১ বেলা ১১:৩০ থেকে ১২:৩০ পর্যন্ত ০৭ (সাত) টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
খ. এইচএসসি/সমমান পর্যায়ের ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে
২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
যেভাবে ভর্তি প্রস্তুতি নিবেন:
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত এবং জীববিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। পাশাপাশি থাকে ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান।
জীববিজ্ঞান:
যারা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুত নিয়েছেন নতুন করে জীববিজ্ঞানে প্রস্তুতি নেয়ার কিছু নেই। তবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উদ্ভিদের বিভিন্ন পর্বের নাম, সামুদ্রিক শৈবালের গঠন, উদ্ভিদের কোষ, সালোকসংশ্লেষণ, শ্বসন, প্রাণির শ্রেণিবিভাগ, হাইড্রা, পরিপাকতন্ত্র, রক্ত সংবহনতন্ত্র অধ্যায় থেকে প্রশ্ন বেশি আসে।
রসায়ন:
রসায়ন দ্বিতীয় পত্র থেকে বিভিন্ন বিক্রিয়ার উৎপাদক বিষয়ে বেশি প্রশ্ন আসে। বিক্রিয়া সহজে মনে থাকে না। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিক্রিয়া একটি কাগজে লিখে পড়ার টেবিলে রাখা যেতে পারে। যাতে সব সময় চোখে পড়ে। রসায়ন প্রথমপত্রের মোলার ও মোলারিটি, জারণ-বিজারণ, রাসায়নিক সাম্যবস্থা অধ্যায় থেকে অংক আসে। সূত্র ভালো করে রপ্ত করতে পারলে গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা সহজ হয়।
পদার্থবিদ্যা:
পদার্থবিদ্যায় প্রতিটি অধ্যায়ের গাণিতিক সমস্যার উদাহরণ ও বিগত বছরগুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় আসা গাণিতিক সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা, তড়িৎ, চুম্বক, আপেক্ষিক তত্ত্ব, ইলেকট্রনিকস সম্পর্কিত অধ্যায় থেকে গাণিতিক সমস্যা বেশি আসে। অল্প সময়ের মধ্যে অনেক গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে হবে। তাই সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে সমাধানের নিয়ম শিখতে হবে। বাজারে পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন শর্ট টেকনিকের বই পাওয়া যায়। এ বইগুলো পড়লে চান্স পাওয়াটা সহজ হবে।
গণিত:
গণিতে ভালো করতে হলে প্রতিটি অধ্যায়ের সূত্র মুখস্থ রাখতে হবে। সূত্র থেকেও অনেক প্রশ্ন হয়। গাণিতিক সমস্যা সমাধানের সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হবে। বেশি গুরুত্ব দিতে হবে সেট, ফাংশন, অমূলদ-মূলদ সংখ্যা, বিন্যাস, সমাবেশ, ত্রিকোণমিতি ও ক্যালকুলাসে।
সাধারণ জ্ঞান
সাধারণ জ্ঞানের নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস নেই। তবে সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির ওপর বিশেষ জোর দিতে হবে। রাজধানী, মুদ্রা, বৃহত্তর, ক্ষুদ্রওর, নদ-নদী, হ্রদ, সদর দফতর, পুরস্কার, স্থাপনা, সম্মেলন ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকে। নিয়মিত পড়তে হবে পত্রপত্রিকা। মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড প্রস্ততিতে সহায়ক হবে।
ইংরেজি:
ইংরেজিরও নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস নেই। বিগত বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করলে কাজে দেবে। প্রিপজিশন, সিনোনিম, এনটোনিম, গ্রুপ ভার্ব, বাক্য রূপান্তর, বাক্য শুদ্ধকরণ, টেন্স, ভয়েস ইত্যাদি বিষয় থেকে বেশি প্রশ্ন হয়।
পরীক্ষায় টিকার টেকনিক:
সবচেয়ে ভালো টেকনিক হলো প্রস্তুতি শুরুর আগে বিগত বছরের প্রশ্ন দেখে নেয়া। বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করলে বেশ কাজে দেবে। এখান থেকে প্রতি বছর ৩০-৪০ শতাংশ প্রশ্ন কমন থাকে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করলেও কাজে দেবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। মাথায় রাখতে হবে এ বিষয়টিও।
বিএসডি/এমএম