স্পোর্টস ডেস্ক
আগেই জানানো হয়েছিল বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে আসবেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। কি নিয়ে কথা বলতে পারেন, সেই বিষয়ও আজ সকাল থেকে ঘুরে বেড়াচ্ছিল গণমাধ্যমে। গুঞ্জন সত্যি করেই দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসা চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্তের পথে হাঁটল বিসিবি।
আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দিন কয়েক আগেই এমন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলো দেশের ক্রিকেটের নীতিনির্ধারক সংস্থাটি। এরই মাধ্যমে শেষ হলো ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া চন্ডিকা অধ্যায়ের দ্বিতীয় পর্ব।
দুই সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসানের মাঝে দ্বৈরথ, সঙ্গে ২০২৩ বিশ্বকাপ ও ২০২৪ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতা হাথুরুসিংহের এই পর্বের সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়ে থাকবে। সাফল্য বিবেচনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জয় আলাদাভাবে শিরোনাম হওয়ার দাবি রাখে।
তবে এসব ছাপিয়ে মাঠের ফলাফলে কেমন ছিল হাথুরুসিংহের বাংলাদেশ অধ্যায়ের দ্বিতীয় পর্ব, সেটাই পরিসংখ্যানের পাতা থেকে দেখে নেওয়া যাক।
২০২৩ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে টাইগার কোচিংয়ে হাথুরু অধীনে ১০টি টেস্ট, ৩৫টি ওয়ানডে ও ৩৫টি টি–টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে হার জিত সমান- ৫টি জয় ও ৫টি হার।
শ্রীলঙ্কান এই কোচের দ্বিতীয় মেয়াদে একদিনের ক্রিকেটে অবশ্য পেছনের দিকেই গিয়েছে বাংলাদেশ। ৩৫ ম্যাচে ১৩ টি জয়ের বিপরীতে হার ১৯টি, ম্যাচের ফল হয়নি ৩টি। বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে মাত্র ২ জয়, নেদারল্যান্ডসের কাছে হার কিংবা আফগানিস্তানের নিচে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করা ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের নিম্নমুখী গ্রাফটাই মনে করিয়ে দেবে বারবার।
আর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি–টোয়েন্টিতে ৩৫ ম্যাচের ১৯টিতে জিতেছে টাইগাররা। বিপরীতে হেরেছে ১৫টিতে, ম্যাচের ফল আসেনি একটিতে। এখানেও হাথুরু পেয়েছেন একটি বিশ্বকাপ। যেখানে সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ এলেও আফগানিস্তানের কাছে মাঠের খেলায় সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। যা পরে জন্ম দিয়েছে বড় বিতর্কের।
সেই তুলনায় প্রথম মেয়াদে হাথুরুসিংহে ছিলেন অনেকটাই সফল। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে হাথুরুর অধীনেই প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ।
এ ছাড়া ঘরের মাঠে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মত পরাশক্তির সাথে সিরিজও জিতেছিল টাইগাররা। ঘরের মাঠে টেস্ট জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে শততম টেস্ট জয়ও ছিল এই কোচের অধীনেই।
লঙ্কান এই কোচের অধীনে প্রথম মেয়াদে ২১ টেস্টের মধ্যে জয় ৬টিতে, ৫২ ওয়ানডের মধ্যে জয় ২৫টিতে ও ২৯টি টি-টোয়েন্টি খেলে জয় ছিল ১০টিতে। সিরিজ হিসেবে দেখলে সবচেয়ে বেশি ছয় জয় এসেছে ওয়ানডে সিরিজে। আর টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে সমান একটি করে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।