নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষকের নিজের কোচিং সেন্টারে ভর্তি না হওয়ায় ক্লাসে নানা অজুহাতে মারধর ও গালমন্দের অভিযোগ উঠেছে উত্তরার নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি (দিবা) বিভাগের নন এমপিও স্টাফ প্যটার্ন বহির্ভূত শিক্ষক বাহাদুর হোসেনের বিরুদ্ধে।
কোচিং করানো নিয়ে ২০১২ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারবেন না। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ছাত্রছাত্রীর তালিকা, রোল, নাম ও শ্রেণি উল্লেখ করে জানাতে হবে।
অপরদিকে ২০১০ সালের ৯ আগস্ট সরকার একটি পরিপত্র জারি করে। ওই পরিপত্রে দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে অভিযুক্ত শিক্ষক বাহাদুর হোসেন শিক্ষার্থীদের শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন বলে একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন৷ এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উত্তরা পূর্ব থানায় অভিযোগ জানায়। জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক বাহাদুরের ইসলাম ব্যক্তিগত লাইট ফেয়ার কোচিং সেন্টারে পড়তে না যাওয়ায় নানা অযুহাত দেখিয়ে এবং টপিকের বাইরে ভিন্ন পড়া ধরে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারধের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ক্লাসের শিক্ষার্থীদের জানোয়ার বলে গালি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে বহিস্কার করেছেন। তবে বহিস্কারের পরেও তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে পুনরায় যোগ দিতে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের ভালো মানুষ হতে স্কুলে পাঠাই। কিন্তু বাহাদুর স্যার আমাদের বাচ্চাদের সাথে করেছেন তা অভাবনীয়। আমরা চাই আর কোন শিক্ষার্থী এমন শারিরীক ও মানসিক বিড়ম্বনার শিকার না হয়।
এ বিষয় জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক বাহাদুর হোসেনকে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও সেট বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযোগের বিষয় নিশ্চিত করে উত্তরা পূর্ব থানার অফিসার (তদন্ত) মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুল কর্তৃপক্ষ বহিস্কার করেছে।
বিএসডি/এফএ