স্পোর্টস ডেস্ক
দক্ষ ফুটবলার তৈরিতে দক্ষ কোচের বিকল্প নেই। বাংলাদেশে এমনিতেই কোচ সংকট। সেখানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আগামী বছরে বাফুফের প্যানেল ভুক্ত কোচের সংখ্যা বাড়ানোর পরিবর্তে উল্টো কমিয়ে আনছে।
বাফুফের যারা প্যানেলভুক্ত কোচ তাদের সম্মানী এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের অর্থায়নে হয়। বাফুফের দাবি, এএফসি সেই অর্থায়ন আগামী বছর কমিয়ে দিচ্ছে এজন্য তারাও বাধ্য হয়ে কোচ কমাচ্ছে। মিডিয়ার কাছে তো নয়-ই, এমনকি ডেভলপমেন্ট কমিটির সদস্যরাও জানেন না আসলে এএফসি বরাদ্দ কত কমিয়েছে।
বাফুফের প্যানেলভুক্ত কোচদের মধ্যে এখন অন্যতম সিনিয়র ও সাফল্য পাওয়া কোচ পারভেজ বাবু। ২০০৩ সাফ জয়ী এই ফুটবলার কোচিং ক্যারিয়ারেও বাংলাদেশকে জুনিয়র সাফে শিরোপা এনে দিয়েছেন। এই বছর তিনি ডেঙ্গুতে বড় সন্তানকে হারিয়েছেন। এমন মর্মান্তিক বছরের পর এখন পেশাগত ক্যারিয়ারে শুনতে যাচ্ছেন আরেকটি দুসংবাদ। ফুটবলসংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী বাফুফের আগামী বছরের তালিকায় থাকছে না তার নাম।
পারভেজ বাবু প্রায় এক যুগ বাফুফের কোচিং প্যানেলে ছিলেন। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে তিনি খানিকটা বিব্রত ও বিস্মিত। তবে আগামীকাল পর্যন্ত চুক্তি থাকায় তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। এখনো আশায় আছেন ফেডারেশন তার কাজের মূল্যায়ন করবে। ফেডারেশন আগামীকালের মধ্যে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের কাছে বাফুফের কোচদেও তালিকা পাঠাবে। প্রতি বছর বাফুফেকে ডিসেম্বর মাসে কোচদের তালিকা হালনাগাদ করে এএফসির কাছে দিতে হয়।
ডেভেলপমেন্ট কমিটির কয়েকজন সদস্য গতকালের সভায় কোচিং এডুকেটর পলো ও পারভেজ বাবুকে রাখার ব্যাপারে জোরালো বক্তব্য রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাদের থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। কমিটির সদস্যরা বেতন কমিয়ে বিষয়টি সমন্বয় করার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত তালিকার বাইরেই থাকছেন।
ফেডারেশনে গতকালের ডেভলপমেন্ট কমিটির সভায় আঞ্চলিক পর্যায়ের কোচদের বাদ দেয়া হয়েছে। যেখানে আঞ্চলিক পর্যায়ে আরো বেশি কোচ প্রয়োজন সেখানে বাফুফে তৃণমূল কোচদের বাদ দিতে বাধ্য হচ্ছে। বছর দুই আগে টেকনিক্যাল বিভাগ গঠিত হয়েছিল। কোচ সংখ্যা কমানোয় এবং আরো কয়েকটি পদ বাদ পড়ায় টেকনিক্যাল বিভাগ এখন ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। ফুটবলাঙ্গনে প্রশ্ন কোচ কমছে, টেকনিক্যাল বিভাগই যেখানে সেই অর্থে থাকছে না, সেখানে এত অর্থ কড়ি দিয়ে ব্রিটিশ টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলি কেন?
২০২১ সালে বাফুফের কোচ সংখ্যা ছিল ২০ এর উপরে। সেটা কমে আগামী বছর দাঁড়াবে ১১-১২ জনে। এর মধ্যে জাতীয় নারী দলের কোচিং স্টাফ ও কমলাপুর একাডেমির কোচই অধিকাংশ। তৃণমূল পর্যায় ও খেলোয়াড় বাছাইয়ে তেমন কোচ থাকছে না।
বিএসডি/এসএ