নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুদকের করা ঘুসগ্রহণের মামলায় বরগুনা বিশেষ জজ আদালতে হাজির হতে এসে স্ট্রোক করে মারা গেছেন এক সরকারি কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কোর্ট বারান্দায় মারা যান ভূমি সহকারী কর্মকর্তা খলিলুর রহমান। তিনি তালতলী উপজেলার বগী তহসিল অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুদকের তিনটি মামলা চলমান ছিল।
দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী গাজী বলেন, আইসোটেক ইলেকট্রিফিকেশন কোম্পানি লিমিটেডে ছোট নিশানবাড়িয়া মৌজায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে জমি ক্রয় করতে চাইলে আসামি মো. সোহরাব হোসেন জোমাদ্দার ও মো. আবুল কালামসহ অন্যরা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে জমির দাতা ও রেকর্ডপত্র সংগ্রহের কাজ করেছেন।
ফলে দেখা যায় ৪১নং ছোট নিশানবাড়িয়া মৌজার নতুন সৃজিত এস,এ, দাগ নং ৫২৯০, ৫২৯১ ও ৫২৯২ এর ২.৫০ একর জমির মূল মালিক বাংলাদেশ সরকার। ওই জমি কখনও আসামি রাহিমা বেগম বা অন্য কাউকে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়নি। ২০০৬ সালের পূর্বে ওই দাগ সৃষ্টি হয়নি।
এ মামলায় সহকারী ভূমি কর্মকর্তা খলিলুর রহমান মঙ্গলবার সকালে তিনটি মামলায় আইনজীবীর মাধ্যমে বিশেষ জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন।
তার আইনজীবী মো. শাহজালাল যুগান্তরকে বলেন, আদালতে শুনানির কিছু আগে কোর্ট বারান্দায় খলিলুর রহমান চিন্তায় স্ট্রোক করে পরে যায়। দ্রুত বরগুনা হাসপাতালে নেওয়ার সঙ্গে তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, আমার মক্কেল শুধু সরকারের পক্ষে খাজনা গ্রহণ করেছেন। অন্য কোনো অপরাধ করেনি।
দুদকের পিপি মো. শাহজাহান বলেন, সরকারি জমির খাজনা আদায় করার কোনো বিধান নেই। আসামিরা খাজনা আদায়ের রশিদ না দিলে সরকারি জমির আসামিরা জাল দলিল সৃষ্টি করতে পারত না।
বিএসডি/ এলএল