নিজস্ব প্রতিবেদক:
ক্যাসিনো ‘গডফাদার’ খ্যাত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের অবৈধ সম্পদের মামলায় চার্জ (অভিযোগ) শুনানির জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার এ মামলায় চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন সম্রাট অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতাল থেকে আদালতে হাজির করেনি জেল কর্তৃপক্ষ। এজন্য আদালত চার্জ শুনানির পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলেও দেশের বাইরে নামে-বেনামে অন্তত এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
মামলার পরই দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্রাটের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়। এরপর ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট সম্রাটের স্ত্রী শারমিন চৌধুরীর এক হাজার ৩১৭ দশমিক ৪৫ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট (ফ্ল্যাট নং-ই, দ্বিতীয় তলা, প্লট নং-৩৯২, মহাখালী ডিওএইচএস) এবং সম্রাটের বাবা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ও কাউন্সিলর মোস্তবা জামান পপির যৌথ মালিকানাধীন চার হাজার ২৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট (হোল্ডিং নং-৭৪/১, ৪র্থ তলা, কাকরাইল) ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এ চার্জশিট দেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই সময় আরমান মাদকাসক্ত থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়।
এরপর সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইল কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অস্ত্র ও মাদকের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারুর দুটি চামড়া উদ্ধার করা হয়। আর অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়। ইতোমধ্যেই এসব মামলায় আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। মামলাগুলো বিচারাধীন আছে।
বিএসডি/ এলএল