জেলা প্রতিনিধি,
পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্রমশ’ই পৃথিবী তার নিজের ভারসাম্য বিকৃত রূপের কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর সকল দেশেই নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ এখন নিত্যদিনকার বন্ধু হওয়াতে পৃথিবীতে দিন দিন বাসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে।
তার উপর আবার প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করার প্রতিযোগীতা পৃথিবীর সকল দেশে থাকলেও বাংলাদেও তা কম নয়। বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনে এবং উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ভূর্তকী দিয়ে থাকলেও, বাংলাদেশের উপকূলীয় দক্ষিণ অঞ্চলের ফুসফুস পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার বিস্তৃর্ন সরকারী বনায়ন ও বন্যপ্রাণের অভয়ারণ্য এবং পর্যটন কেন্দ্র “সোনারচর” এখন হুমকিতে পর্যটন প্রেমী এবং উপকূলীয় জলভাসি মানুষের অভিযোগ।
তথ্য অনুযায়ী ২০২৬.৪৮ হেক্টর জমি নিয়ে এই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যটি ২০১১ সালের ২৪ ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুধু তাই নয়, বঙ্গব সাগর কূল ঘেশা উপকূলীয় এলাকার জানমাল রক্ষায় সৃষ্টি কর্তার উপহার হিসেবে উপকূলীয় প্রাণের ফুসফুস বলে প্রাণীবিজ্ঞানী এবং এখানকার জনসাধারণ মনে করে থাকলেও উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়ন এবং তার সংশ্লিষ্ট “সোনারচর” এর কিছু অসাধুপায়ী বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে উপকূলীয় সংরক্ষিত এবং অভয়ারণ্যের ফুসফুস আজ হুমকির পথে।
দীর্ঘ অনুসন্ধান এবং সরজমিন জানা যায়, বন বিভাগের চরমোন্তাজ এর রেঞ্জ কর্মকর্তা এবং সোনারচর বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রতিবছর স্থানীয় রাজনীতি দলয়ী নেতাদের খবরদারী, উপর ওয়ালাদের সুপারিশ আর স্থানীয় শত শত জেলে, গরু মহিষ খামারীদের কাছ থেকে অর্থ বানিজ্যের বিনিমেয় নিজেরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও সরকারী সম্পাদ আর প্রাকৃতিক পরিবেশ আজ ধ্বংসের পথে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে আরো জানা যায়, নির্দিষ্ট দালালের মাধ্যমে সরকার ঘোষিত অভয়ারণ্য বনায়ন সংরক্ষিত এলাকায় বিট কর্মকর্তা বা ফরেস্ট অফিসাররা প্রতি গুরু, মহিষ জোরা প্রতি নির্ধারিত অর্থ দিয়ে শত শত গবাদী পশু বিচরণের ফলে উপকূলীয় সরকারী বনায়ন এবং বন্যপ্রাণী আজ হুমকির দ্বার প্রান্তে।
এছাড়া ছোট ছোট খালের ভীতর শত শত জেলেদের কাছ থেকে চুক্তি ভিত্তিক হারে অর্থ লেনদেন করে বন কর্মকর্তারা দেখেও না দেখার ভান করে আগামী প্রজন্মকে ঠেলে দিচ্ছে সরকারের মাইনেপাওয়া এসকল অসাধুপায়ী বনরক্ষক কর্মকর্তারা।
যা সরজমিনের অসংখ্য চলমান ও স্থির চিত্র সংরক্ষিত অনুযায়ী প্রতিবেদেন এর প্রথম পর্ব। প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ে অরো অজানা তথ্য নিয়ে আসছি আগামী পর্বে, আমাদের সাথেই থাকুন।
বিএসডি/আইপি