নিজস্ব প্রতিবেদক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পাঁচ আগস্টের পর দেশের কয়েকটি জায়গায় সংখ্যালঘু অত্যাচারের ঘটনা ঘটলেও সেটিকে বেশ বড় করে বহির্বিশ্বের মিডিয়ার প্রচার করা হচ্ছে। যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেখানে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আন্দোলন এবং বর্তমান সরকার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সম্পূর্ণ আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ অপপ্রচার। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজ জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
এসময় তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম প্রকল্প চলমান রাখার বিষয়ে উপদেষ্টার সম্মতি চান।
পরে নাহিদ ইসলাম বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যুগের সাথে তাল মেলাতে তা অপরিহার্য। তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম প্রকল্পের কাজ চলমান রাখার পাশাপাশি এ বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটি পর্যালোচনা করা হবে বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
এসময় তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে বেশ কিছু সাংবাদিক হতাহত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি সাংবাদিকদের একটি অংশ ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ সংক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় মামলা করছে। সেই মামলায় অনেকে গ্রেপ্তার হচ্ছে। তবে সবার আইনি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছে। ফলে তারা আইনি সহায়তা পাবেন।
এসময় ইউনেস্কোর নীতি বিশ্লেষক আফজাল হোসেন সরোয়ার, এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট শিলা তাসনিম হক উপস্থিত ছিলেন।