নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে আলোচনায় উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিক। এরপর থেকেই মানুষের মধ্যে কৌতূহল দেখা গেছে শত বছরের পুরোনো এই বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে। ব্রেস্ট, ইউরোলজি, গাইনোকলজি ও চর্মরোগ চিকিৎসায় সুনাম রয়েছে চিকিৎসা কেন্দ্রটির। আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন ও সেলুলার থেরাপিতেও রয়েছে সুনাম।
১৯৩২ সালে যাত্রা শুরু করা হাসপাতালটির অবস্থান সেন্ট্রাল লন্ডনের ডেভনশায়ার প্লেস ও মেরিলিবন সড়কে। এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে পরিচিতি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, লন্ডন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স অব ওয়েলস উইলিয়ামের স্ত্রী প্রিন্সেস অব ওয়েলস ক্যাথরিন, রাজা তৃতীয় চার্লস, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, তার স্বামী ফিলিপ অব এডিনবরা। এ ছাড়া, এ হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
লন্ডন ক্লিনিকের রোগীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ও ব্রিটিশ-আমেরিকান অভিনেত্রী লিজ টেইলরও। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের অনেক হাই-প্রোফাইল ব্যক্তি এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাসপাতালটির ক্যান্সার চিকিৎসাসেবা নিয়ে প্রশংসা করে থাকে ইউরোপের বিভিন্ন মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান।
লন্ডন ক্লিনিকের বহির্বিভাগে প্রতি বছর গড়ে এক লাখ ১০ হাজার মানুষ চিকিৎসা নেন। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন ২৩ হাজার রোগী।
সবকিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রা শুরু করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন। কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে লন্ডন পৌঁছাবেন তিনি। সেখান থেকে তাকে সরাসরি যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা চলবে।
লন্ডন বিমান বন্দরে খালেদা জিয়াকে রিসিভ করবেন তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্ত্রী ড. জোয়াবেদা রহমান এবং লন্ডন বিএনপির দুজন নেতা। আর ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে চিকিৎসকদের পাশাপাশি তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি যাবেন।