বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের রাজনীতি কোনো দিকে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
শনিবার (২০ নভেম্বর) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত গণঅনশনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার নেত্রী খালেদা জিয়া আজকে বন্দি। আজ নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ। কাল ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস। এ দিবসের প্রতিষ্ঠালগ্নের মহাপুরুষ, মহানায়ক যারা তাদের মধ্যে এক নম্বরে রয়েছেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। সেই বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী খালেদা জিয়া আজকে বন্দি। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আগে আমি আবেদন করলাম, এ দিবস অসম্পূর্ণ হবে যদি আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে অশ্রদ্ধা করি। আর অশ্রদ্ধার নমুনা তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা। সুচিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করতে দেবেন কি দেবেন না, এটাই আগামী দিনের রাজনীতিকে বিভাজন করবে। আপনি যদি খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করতে দেন বাংলাদেশের রাজনীতি এক দিকে যাবে। আর যদি চিকিৎসা করতে না দেন তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতি আরেক দিকে যাবে। আর যদি অন্যদিকে যায় আপনি প্রধানমন্ত্রী সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। পৃথিবীর বুকে আপনার যতো বন্ধুই থাকুক তাদের কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।
সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, বাংলার ১৬ কোটি মানুষ চায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিদেশে হোক। বর্তমান রাজনৈতিক সরকার দয়া করে খেয়াল রাখুন, আপনারা যতো অমানবিক হবেন তার দশগুন ফেরত যাবে। আর আপনি যদি মানবিক হন তারও দশগুন ফেরত দেবে। আসুন আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সৌজন্যবোধ এবং মানবিকতা ফেরত আনি।
২০দলীয় জোটের আরেক শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব হাসান হাবিব লিংকন বলেন, খালেদা জিয়া আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এভারকেয়ার হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, আর গণভবনে বসে একজন হাসছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। আপনি এ জিঘাংসার রাজনীতি থেকে ফিরে আসুন। খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
গণঅনশনে সংহতি জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেন, ‘খালেদা জিয়া এমন দায়িত্বশীল ব্যক্তি, যিনি দলমত-নির্বিশেষে সবার কাছে স্মরণীয় ও বরণীয়। শুধু তা-ই নয়, তিন–তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি দলের প্রধান। আজকের জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। কারণ, তিনি দেশের সাধারণ কোনো নাগরিক নন।