খেলাধূলা প্রতিনিধি:
টার্গেট খুব বেশি নয়, মাত্র ৮৪। এই রান ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুব সহজেই তাড়া করে ফেলবে! শুরুতে হয়তো সবাই এমনটা ভেবেছিল। তবে খেলাটা যেহেতু গোল বলের, কখন কি হয় তা আগে থেকে বলা যায় না। যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে এবং সেটাই যেন করে দেখালেন খালেদ আহমেদ।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মুস্তাফিজুর রহমানের করা প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান নিতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ওভারে খালেদের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথম বলেই লেগ সাইডে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে পরাস্ত করেন তিনি। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের হাতে।
একই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও খালেদের আঘাত। এবার তার শিকার রায়মন রেইফার। বলটা বাউন্স খেয়ে হালকা মুভ করে। সেটি ঠিকভাবে বুঝতে পারেননি রেইফার। প্রথমে খেলতে গিয়েও পরে ব্যাট সরিয়ে নেন। বলটি তার গ্লাভসে লেগে উইকেটকিপারের হাতে চলে যায়। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান মাত্র ৩। এমন বোলিংয়ের পর বাংলাদেশ শিবিরেও জয়ের আত্মবিশ্বাস চলে আসে। এত অল্প রানেও জয় সম্ভব!
দলের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে আবারও বাংলাদেশকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দিলেন খালেদ আহমেদ। ওই ওভারের পঞ্চম বলে বোনারকে সরাসরি বোল্ড করে দেন তিনি। শূন্য রানেই ফিরে গেছেন বোনার। ক্যারিবিয়ানদের স্কোর ৩ উইকেট হারিয়ে ৯ রান। এর পরই জুটি গড়ে তোলেন ক্যাম্পবেল ও ব্ল্যাকউড। দিনের বাকিটা সময় আর কোনো বিপদ হতে দেননি। দেখেশুনে খেলে তৃতীয় দিন পার করেন। দিনশেষে তাদের রান ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯। জয়ের জন্য আরও করতে হবে ৩৫ রান।
ক্যাম্পবেল ২৮ ও ব্ল্যাকউড ১৭ রানে অপরাজিত। তাদের দুজনের জুটি ৪০ রানের। আজ চতুর্থ দিন আবারও ব্যাট করতে নামবেন তারা। অন্যদিকে, শুরুতে খালেদের উইকেটে কিছুটা আত্ববিশ্বাস জমলেও সেটা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে বাংলাদেশের। চতুর্থ দিন কোনো অঘটন না ঘটলে অ্যান্টিগা টেস্টে সফরকারীদের কপালে পরাজয়ই লেখা আছে। তবুও গোল বলের খেলা। তাই এখনই কিছু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ফল কি হয় তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ৬৩ ও নুরুল হাসান সোহান ৬৪ রান করেন। এতেই লড়াই করার পুঁজি পায় টাইগাররা।
বিএসডি/ এমআর