নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীরকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাইলেও যুক্তরাষ্ট্র দিচ্ছে না। একটা খুনিকে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আশ্রয় দিয়েছে, তারাই আবার আইনের কথা বলে, মানবতার কথা বলে। যে ব্যক্তি (রাশেদ চৌধুরী) মানবতা ভঙ্গ করল, এতগুলো মানুষকে মেরে ফেলল, তাকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন শনিবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন।
সম্প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এলিট ফোর্স র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে ঢাকা। এ নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলারকে ডেকে নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ফোন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনকে।
অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা (দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী) নিজেরা আলাপ করছি। সময় এখন একটা সমস্যা, আমরা বসে আলাপ করব। আরেকটা সমস্যা হলো রাশেদ চৌধুরীকে তো আটকে রেখেছে তারা (যুক্তরাষ্ট্র), দেয় না।’
র্যাবের কারণে দেশে সন্ত্রাসী কমেছে উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি যে, তোমরা (যুক্তরাষ্ট্র) জঙ্গিবাদ দমন করতে চাও, বৈশ্বিক মাদক কমাতে চাও, মানবপাচার বন্ধ করতে চাও- র্যাব এসব কাজই করছে। তারা শুদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। তোমাদের এটা (নিষেধাজ্ঞা) দেশবাসী গ্রহণ করেনি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন আরও বলেন, ‘র্যাবের প্রতি মানুষের একটা আস্থা আছে। কারণ তারা সহজে পয়সায় বিক্রি হয় না। এরকম একটা প্রতিষ্ঠান নিয়ে এটা (যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা) করা ঠিক হয়নি। এখন যাই হোক, তারা নিজেদের রিপোর্ট বের করেছে। ওনাদের কংগ্রেস অনেকটা বাধ্য করেছে- এমন রিপোর্ট করতে। উনি (ব্লিঙ্কেন) বলেছেন, আমরা আলোচনা করব। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অনেক আলোচনার সুযোগ আছে, আমার এটা ভালো লেগেছে। তিনি বুঝেছেন যে, আমরা এতে অসন্তুষ্ট হয়েছি।’
বিএসডি/এসএফ