নিজস্ব প্রতিবেদক:
কিশোরগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীপুরের একটি মসজিদে তাবলিগের চিল্লারত অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। হাতুড়ির আঘাতে ওই ব্যবসায়ীকে হত্যার পর তাবলিগ জামাতের চিল্লায় যোগ দিয়ে গা ঢাকা দিতে চেয়েছিলেন জাকির হোসেন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার একটি গ্রামের মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজ করে আসছেন জাকির।
গত ৩ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের কাটবাড়িয়া ডাউকিয়া মসজিদের পাশে নরসিংদীর গরু ব্যবসায়ী রমিজ উদ্দিন (৬৫) খুন হওয়ার পর জাকির লাপাত্ত হয়ে গিয়েছিলেন।
র্যাব জানায়, গত ৩ অক্টোবর সকালে কিশোরগঞ্জ মডেল থানাধীন কাটবাড়িয়া ডাউকিয়া মসজিদের দক্ষিণ পাশে অচেতন অবস্থায় গুরুতর জখম অজ্ঞাত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এসময় নিহতের পাঞ্জাবির পকেটে থাকা কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে পুলিশ তার নাম জানতে পারে।
ঘটনার পর নিহতের ছেলে বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ক্লুলেস এ হত্যার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযুক্তদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করে। পরে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১৪ এর একটি দল হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করে। গতকাল রাতে তাকে একটি মসজিদে চিল্লারত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মঈন বলেন, রমিজ উদ্দিন ছিলেন একজন বিত্তশালী উঠতি ব্যবসায়ী। মূলত তার টাকা আত্মসাৎ করতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
ব্যবসায়ী রমিজকে হত্যার পর তার কাছে থাকা ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন জাকির। এরপর বিভিন্ন জায়গায় তিনি আত্মগোপন করেন। হাতিয়ে নেওয়া টাকার মধ্যে এক লাখ টাকা তিনি (রমিজ) বিভিন্ন জায়গায় খরচ করেন।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১৪ এর অভিযানে গতকাল রাতে লক্ষ্মীপুর জেলার একটি মসজিদে চিল্লারত অবস্থায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। ।
বিএসডি/ এলএল