স্পোর্টস ডেস্ক
বর্তমান সময়ে যেন নিয়ম করেই প্রতি বছর নিউজিল্যান্ড সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। তবে সফলতা হয়ে আছে দূর আকাশের তারা। সবশেষ সফরে ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা টাইগাররা হারে ৬ ম্যাচেই। কিউইদের বিপক্ষে তাদের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এযাবৎ ৩২টি ম্যাচ খেলা বাংলাদেশ দল কোন ম্যাচই জিততে পারেনি, হেরেছে প্রতিটি ম্যাচেই।
এবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২ ম্যাচের সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আগামী ১ জানুয়ারি সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলবে দুই দল। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ৯ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভালে। তার আগে মঙ্গানুইয়ের বে ওভাল-২ এ দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড একাদশে মুখোমুখি হয় সফরকারীরা। এ ম্যাচের ব্যাটিং পারফরম্যান্স আশাবাদী করছে বাংলাদেশকে।
প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ড থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয় জানিয়েছেন এ কথা। বলেছেন, ‘আসলে আমরা এখানে অনেকদিন আগে এসেছি। বাট দশদিনের কোয়ারেন্টাইন ছিল। কোয়ারেন্টাইন শেষে যে কয়দিন অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি, আজকে অনুশীলনে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে আমরা ব্যাটিংয়ে ভালোই পারফর্ম করেছি। আমি ৬৬ করেছি, মুশফিক ভাই ৬২ (৬৬) রান করেছে। আমাদের প্রস্তুতিটা খুব ভালো হয়েছে। আমাদের একটাই প্রস্তুতি ম্যাচ। আমরা আশাবাদী ভালো কিছু হবে।’
ম্যাচের দ্বিতীয় দ্বিতীয় দিন সকালে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৪৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড একাদশ। পরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা ভালো না হলেও নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে দেখেশুনে খেলতে থাকেন জয়। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ৫০ রানের জুটি ভাঙে ২৭ রান করে শান্ত বিদায় নিলে।
পরে জয় পূর্ণ করেন অর্ধশতক। ১৩১ বলে ১১টি চারের সহায়তায় ৬৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার পঞ্চম উইকেটে মুশফিক-লিটন গড়েন ৭৪ রানের জুটি। ৯১ বলে জয়ের সমান ৬৬ রান করে থামতে হয় মুশফিককে। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি (২১), মেহেদী হাসান মিরাজ (২০)। পরে ৭৬.৪ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান জড়ো করে বাংলাদেশ, ম্যাচ অফিসিয়ালরা ড্র ঘোষণা করেন।
বিএসডি/এসএ