নিজস্ব প্রতিবেদক,
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ছড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছিল খুলনায়। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগী মারাও গেছেন। অবশেষে স্বস্থির খবর এলো।
স্পেক্ট্রা কোম্পানির পক্ষ থেকে বুধবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে রিফিল করা শুরু হয়েছে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক। নতুন এ অক্সিজেন লাইনের মাধ্যমে রোগীদেরকে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটের জন্য স্থাপিত ওই ট্যাংক ছাড়াও সেখানে রয়েছে আরও একটি ১০ হাজার লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ট্যাংক। একটি আগে থেকেই রয়েছে লিন্ডে কোম্পানীর এবং অপরটি সদ্য স্থাপিত স্পেক্ট্রা কোম্পানির।
এর মধ্য দিয়ে খুমেক হাসপাতালের করোনা রোগী ছাড়াও সাধারণ রোগীদেরও অক্সিজেন সংকটের অবসান হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, এখন আর করোনা রোগীদের সিলিন্ডার অক্সিজেনের খুব বেশি প্রয়োজন হবে না।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হাসান বলেন, স্পেক্ট্রা কোম্পানির ট্যাংকটিতে অক্সিজেন রিফিল করা হয়েছে। রোগীদের আর অক্সিজেন সংকটে ভুগতে হবে না। এ হাসপাতালে ১০ হাজার লিটার করে দুটি ট্যাংক দিয়ে সেন্ট্রাল লাইনের মাধ্যমে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হবে। কোনো একটি ট্যাংক কোনো কারণে বন্ধ হলেও অন্যটি দিয়ে বিকল্প হিসেবে চালানো যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে স্পেক্ট্রা কোম্পানির এ ট্যাংকটি এনে খুমেক হাসপাতাল অভ্যন্তরে দীর্ঘদিন ফেলে রাখা হয়। এটি স্থাপনের জন্য এইচইডি থেকে ৯৭ লাখ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যেটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় মার্চ মাসে। পরে মন্ত্রণালয় থেকে আবারো সেটি পাঠানো হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।
এভাবে কয়েক দফায় পত্র চালাচালির পর শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিজস্ব অর্থায়নে এটি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলে জুন মাসের প্রথম দিকে স্থাপন কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি ট্যাংক বসানোর পাশাপাশি পাইপ লাইন সংযোগ দেওয়া হয়। এজন্য সর্বমোট ৯৭ লাখ টাকা খরচ হয়।
স্পেক্ট্রা কোম্পানির খুলনা বিক্রয় কেন্দ্রের ইনচার্জ সজিব রায়হান বলেন, খুমেক হাসপাতালে এ ট্যাংকটি বসানোর ফলে সিলিন্ডার অক্সিজেনের চাহিদা কমবে। এর ফলে অন্যান্য হাসপাতাল এবং প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোতেও নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
বিএসডি/এমএম