গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেললেন তানজিদ তামিম। এই তরুণ ওপেনারের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বড় লক্ষ্য তাড়ায় খুলনা টাইগার্সের হাল ধরতে পারেননি কেউই। তাতে বড় ব্যবধানে হেরেছে এনামুল হক বিজয়ের দল। ৬৫ রানের জয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম।
আজ মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৬ রান করেছেন তানজিদ তামিম। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ৫ বলে ১২৭ রানে অলআউট হয় খুলনা।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৮ বলে ৬ রান। তিনে নেমে শাই হোপ কিছুটা আশা দেখালেও ফিরেছেন ২১ বলে ৩১ রান করে। বিজয়ও ভালো শুরু পেয়েছিলেন তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫ রান।
এর পর আর কেউই বলার মতো কোনো রান করতে পারেননি। তাতে ১২৭ রানেই শেষ হয়েছে খুলনার ইনিংস। চট্টগ্রামের হয়ে ২৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন শুভাগত হোম।
এর আগে চট্টগ্রামের জার্সিতে ডেব্যু হয় মোহাম্মদ ওয়াসিমের। তবে তিনি দ্রুত আউট হয়ে যান। এরপর ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন তানজিদ তামিম। ৬৫ বলে ১১৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে গড়েছেন বিশাল স্কোর। তার নিজের ক্যারিয়ারের অসাধারণ এ ইনিংস সাজিয়েছেন ৮ ছয় আর ৮ চারে।
তানজিদ যখন আউট হন, ততক্ষণে চট্টগ্রামের স্কোরবোর্ডে জমা হয়ে গেছে ১৭০ রান। তামিম আজ চড়াও হন প্রায় সবার ওপরেই। কোনোভাবেই তাকে আটকানোর রাস্তা পাননি খুলনার বোলাররা। প্রথম ১০ বলে ১০ রান করা তামিম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠেন। ঝড়টা বেশি দেখেছেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও আরিফ আহমেদ।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে টম ব্রুসের সঙ্গে ৬১ বলে করেন ১১০ রানের পার্টনারশিপ। শেষ পর্যন্ত তাকে থামিয়েছেন ওয়েইন পার্নেল। ইয়র্কার লেন্থের বলটা স্ট্যাম্পে আঘাত করার পর স্বয়ং পার্নেলই তামিমকে অভিবাদন জানান।
বিএসডি / এলএম