নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা
খুলনা বিভাগে ফের বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। নতুন বছরের শুরুতেই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। চলতি মাসের প্রথম দিন করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগী ছিল মাত্র ৫ জন। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সেই সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫৪ জনে। এর আগে বুধবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬০ জন।
এদিকে ৪৭ দিন পর খুলনায় করোনা আক্রান্ত হয়ে নগরীর ফারাজী পাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম (৭০) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
খুলনা ২০০ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ১৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে রেড জোনে একজন এবং ইয়েলো জোনে ১৩ জন রয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা বিভাগের করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৫৪ জন। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী জেলা যশোরেই ১৬ জন শনাক্ত হয়েছে। আর কুষ্টিয়ায় ১৩ জন ও খুলনায় ৯ জন শনাক্ত হয়। এ ছাড়া ঝিনাইদহে ৭ জন, সাতক্ষীরা ও নড়াইলে তিনজন করে, বাগেরহাটে ২ জন ও মেহেরপুরে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা বিভাগে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ২৩২ জন। আর মোট মারা গেছেন ৩ হাজার ১৯৫ জন।
শনাক্ত এবং মৃতের সংখ্যা বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা। এখানে ২৮ হাজার ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ৮০৯ জন। এ ছাড়া শনাক্তের সংখ্যায় সবচেয়ে কম মাগুরায় ৪ হাজার ১৬৯ জন। আর মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে কম সাতক্ষীরায় ৮৮ জন।
কুয়েটের আবাসিক ছাত্রী করোনা আক্রান্ত
এদিকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী সামিহা তাসকিন প্রাপ্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ৩০২১ নম্বর কক্ষে থাকেন। করোনা শনাক্তের পর বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসার জন্য তার বাড়ি রাজশাহীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় রোকেয়া হলের ৩০২১ কক্ষের আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে। তাদের নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। রোকেয়া হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মামুন জামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওই শিক্ষার্থী করোনা শনাক্তের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা কমিটির বৈঠক আহবান করা হয়েছে। সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কুয়েট সূত্রে জানা যায়, শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ১১ জানুয়ারি সামিহা তাসকিন প্রাপ্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে। এরপর থেকে তাকে আলাদা রাখা হয়েছিল। বুধবার রাতে তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়।
বিএসডি/এসএ