নিজস্ব প্রতিবেদক,
খুলনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। ফলে হাসপাতালগুলোডে রোগীর সংখ্যাও কমেছে। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় খুলনার পাঁচ হাসপাতালে রোগী ভর্তি ধারণক্ষমতার ২০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ফলে হাসপাতালগুলোতে খালি রয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ শয্যা। এর মধ্যে টানা তিন দিন রোগীশূন্য রয়েছে খুলনা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিট।
হাসপাতালগুলোর দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খুলনায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসায় পাঁচটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি সরকারি ও দুটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে রোগীদের জন্য রয়েছে ৫৬৫ শয্যা। এর মধ্যে ৮০ শয্যার খুলনা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোনো রোগী নেই।
আর খুলনার বাকী হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি রয়েছে ১১৬ জন। এর মধ্যে খুলনা ২০০ শয্যার করোনা হাসপাতালে ৬৪ জন, ৪৫ শয্যার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ২১ জন, ৯০ শয্যার খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ জন এবং ১৫০ শয্যার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।
আর খুলনা সদর হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিট সম্পূর্ণ খালি রয়েছে। গত তিন দিন কোনো রোগী ভর্তি হয়নি, বরং সম্পূর্ণ ইউনিট রোগীশূন্য রয়েছে। এর আগে ২০ জুন করোনায় আক্রান্ত রোগীর চাপ সামলাতে খুলনা সদর হাসপাতালে ৭০ শয্যার করোনা ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে রোগীর চাপ আরও বাড়লে ৮০ শয্যায় পরিণত করা হয়।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি হয়নি। এর আগের দুদিনও করোনা ইউনিটে কোনো রোগী ছিল না। গত ২৮ আগস্ট সকাল পর্যন্ত চারজন রোগী ভর্তি ছিল। সর্বশেষ ২৯ আগস্ট সেই চারজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ওই দিন থেকেই রোগীশূন্য রয়েছে হাসপাতাল।
বিএসিডি/আইপি