নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুরের শ্রীপুরে গত ৩ জানুয়ারি গজারি জঙ্গল থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার লোহাগাছ বিন্দুবাড়ি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে ওমর ফারুক (২০) ও একই এলাকার মো. হাসমতের ছেলে রাব্বি (১৯)।
নিহত রাশিদা বেগম (৪৫) শ্রীপুর পৌর এলাকার মাধখলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
অভিযুক্তরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, লাকড়ি কুড়াতে গেলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন তারা। পরে ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় তাকে। অভিযুক্ত ওমর ফারুক ও রাশিদা বেগম পূর্বপরিচিত।
ওমর ফারুক হত্যার দায় স্বীকার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এসআই মো. আমজাদ শেখ জানান, রাশিদা বেগম বাড়ির পাশে ইসরাক স্পিনিং মিলস কারখানায় চাকরি করতেন। গত ২ জানুয়ারি বাড়ির অদূরে দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকায় গজারি বনে লাকড়ি কুড়াতে যান। সেখানে ওমর ফারুক গরুর জন্য ঘাস কাটছিলেন আর রাব্বি গরু চড়াচ্ছিলেন। অভিযুক্তরা রাশিদাকে একা পেয়ে তার পেছন থেকে জাপটে ধরে। এ সময় রাশিদা চিৎকার দিলে ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে তারা ধর্ষণ করেন।
তিনি আরও বলেন, রাশিদা ও ফারুক একই কারখানায় চাকরি করতেন। ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার ভয়ে ফারুক ও রাব্বি শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে মরদেহ জঙ্গলে ফেলে দেন। স্থানীয়রা পরদিন জঙ্গলে লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
এসআই আমজাদ আরও জানান, হত্যার পর রাশিদার স্বর্ণের নাক ফুল ও গলার রূপার চেইন স্থানীয় সাঈদ নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য যান ওমর ফারুক। পরে সাইদের দেওয়া তথ্যমতে ওমর ফারুককে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ওমর ফারুকের বোনের বাড়ি জামালপুর থেকে নাকফুল ও চেইন উদ্ধার করা হয়।
শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করে ওমর ফারুক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বিএসডি/ এলএল