নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, গত ১৬ বছর উত্তরাঞ্চলকে একটা দলের অংশ মনে করে সব সময় বঞ্চিত করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের একটা পৌরসভায় যে উন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়া হতো, উত্তরাঞ্চলের একটা জেলাতেও সে বরাদ্দ দেওয়া হতো না। দক্ষিণাঞ্চলে একটা এক্সপ্রেসওয়ে করতে যে বরাদ্দ দেওয়া হতো, পুরো রংপুর বিভাগে সে উন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়া হতো না। এই যে উন্নয়ন বৈষম্যের মধ্য দিয়ে বিগত এক যুগ ধরে উত্তরাঞ্চল গিয়েছে। উত্তরাঞ্চলের কোথায় কী সমস্যা? সেগুলো রাজপথে থেকে, মাঠে-ঘাটে হেঁটে দেখে সেগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে বলার জন্য আমরা এসেছি।
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে দিনাজপুরের বিরল উপজেলা শহরে বকুলতলা এলাকায় পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, আমরা মনে করি আগামীর বাংলাদেশে যারা নেতৃত্ব দিতে চায়, তাদের আগে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলা-উপজেলা-ইউনিয়নে ঘুরতে হবে। আগে দেখতে হবে মানুষ কী চায়। রাস্তাঘাটগুলোর কী অবস্থা, হাসপাতালগুলোতে শুধু বিল্ডিং আছে নাকি ডাক্তারও আছে। থানায় ভালো পুলিশ কর্মকর্তারা আছে নাকি থানায় কথা বলার আগে টাকা চাওয়ার মতো পুলিশ কর্মকর্তা আছে। আমরা দেখতে এসেছি যে ভূমি অফিসগুলোয় মানুষ প্রাপ্য সেবা পায় নাকি সেখানে সেবা পাওয়ার আগে দর কষাকষি হয়।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল দেখার দরকার নাই। মার্কা দেখার দরকার নাই। যে মানুষটা ভালো, যে মানুষটা টাকা ছাড়া আপনার কথা বলে, আপনাদের কথা শুনবে আপনাদের কথা এবং এই এলাকার প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করবে তাদেরকে আগামী দিনে আপনাদের নেতা বানাবেন। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও যদি আপনারা দলান্ধ থাকেন, মার্কা দেখে অন্ধভাবে ভোট দেন, তাহলে বাংলাদেশের পরিবর্তন খুব বেশি সম্ভব নয়।
তরুণ প্রজন্মদের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, আপনাদের মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। ধূমপান করা কোনো স্মার্টনেস না। যে জানে যে সিগারেট খেলে আমি অসুস্থ হবো, আমার ক্যান্সারের ঝুঁকি আছে, এই টাকাটা নষ্ট অপচয়, তারপরও যে সিগারেট খায় সে সত্যিকারের অর্থেই সবচাইতে বড় মূর্খতার পরিচয় দেয়।
তিনি বলেন, আমরা বিগত সময়ে দেখেছি, রাজনৈতিক নেতারা ইলেকশনের আগে আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসে। পরের পাঁচ বছর আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
এ সময় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাসের খান, সাদিয়া ফারজানা দিনাসহ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।