গত ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা জনগণকে শুধু ধোঁকা দিয়েছে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, আমরা যারা দেশ প্রেমিক, আমরা যদি একত্রিত হয়ে দেশের পক্ষে ইসলামের পক্ষে মানবতার পক্ষে আওয়াজ তুলতে পারি, তাহলে হক আসবে বাতিল দূর হবে, আলো আসবে অন্ধকার দূর হবে। আমরা দেশ প্রেমিকরা যদি আওয়াজ তুলতে পারি তাহলে ক্ষমতাপ্রেমীরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হবে।

‎বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে পিরোজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিরোজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি রেজাউল করীম বলেন, আপনারা দেখেছেন ৫ আগস্টের পর ইসলামের পক্ষে বাংলাদেশের মানুষের একটা হৃদ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। সেটাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। এ জন্যই আমরা ঘোষণা করেছি ইসলামের পক্ষে আমরা চেষ্টা করতেছি একটা বাক্স পাঠানো যায় কিনা। আল্লাহর রহমতে সেই প্রক্রিয়ায় আগাচ্ছি, এগিয়ে গেছি। এখন আপনাদের সহযোগিতা থাকা লাগবে। আমার ভাই-বোনদের কাছে, মা-বোনদের কাছে দেশ গড়ার লক্ষ্যে ইসলামের মর্মতার পক্ষে যদি দাওয়াত দিয়ে যেতে পারি, আমার মন বলছে এদেশে আগাছা মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখন পরিবর্তনের সময় এসেছে। ৫ আগস্টের পর দেশে যখন অভ্যুত্থান হলো। এরপর পেছনে যারা দেশ পরিচালনা করেছে তাদের মাধ্যমে আমাদের দেশ আবার সুন্দর হবে সেটা চিন্তা করা বোকামি ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না। তারা তো পরীক্ষিত, নতুনভাবে আবার কী পরীক্ষা দেবে। এজন্য আমরা সকলকে উদাত্ত আহ্বান জানাবো আসেন আমরা দেশটাকে সুন্দরভাবে গঠন করার জন্য সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করি। আসলে বাস্তবতা হলো সবাই বোঝেও জানেও, অনেকে ব্যক্তি ও দলের স্বার্থের জন্য ভালো কিছুকে গ্রহণ করতে চায় না। কিন্তু বিতর্কিত করতে চায়। বাংলাদেশের ভেতরে আর বৈষম্য হবে না- এটাই বাস্তবতা, এটাই ইসলামের ইতিহাস, এটাই হলো আমাদের দাবি।

মুফতি রেজাউল করীম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি চায়। গত ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা জনগণকে শুধু ধোঁকাই দিয়েছে। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, গুম-খুন, স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্টমুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ। আগে গণহত্যার বিচার, তারপর হবে সংস্কার, পরে দেখা যাবে নির্বাচন। সেই নির্বাচন হতে হবে অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে, কারণ আর কোনো স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশে উৎপত্তি হতে দেওয়া হবে না ইনশাআল্লাহ।

‎ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া হাওলাদারের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মাদ মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, পিরোজপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ নজরুল আহসান, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ হাফিজুল ইসলাম, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ ও আইম্মা পরিষদ পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।