আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জার্মান সরকার গর্ভপাত সংক্রান্ত আইন সংস্কার করার পরিকল্পনা জানিয়েছে। এই আইনে গর্ভপাতের পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য দেয়া হলে চিকিৎসকদের ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান ছিল।
অন্তঃসত্ত্বার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলে বা ধর্ষণের ঘটনায় বিচারপ্রক্রিয়ার আওতায় আসেন না তারা। নইলে বাধ্যতামূলক কাউন্সিলিংয়ের পর গর্ভধারণের প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে (শেষ ঋতুস্রাব থেকে ১৪ সপ্তাহ) গর্ভপাত করা যেতে পারে। তবে অনেক বাধা রয়েছে।
শুক্রবার জার্মান সংসদ বুন্ডেসটাগ আইন সংস্কারের পক্ষে ভোট দিয়েছে অর্থাৎ ডাক্তারদের এখন অতিরিক্ত তথ্য দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনো মামলার ভয় ছাড়াই গর্ভপাত সম্পর্কে তথ্য দিতে পারবেন তারা।
আগের আইন অনুযায়ী, জার্মানিতে ডাক্তারদের বলার অনুমতি ছিল যে তারা গর্ভপাতের প্রস্তাব দিয়েছেন, কিন্তু আরো বিস্তারিত তথ্য জানানোর অনুমতি ছিল না।
জার্মানিতে গর্ভপাত বেআইনি। তবে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এর অনুমোদন রয়েছে এবং সেক্ষেত্রে গর্ভধারণের ১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করতে হবে এমনটাই বলে আইনে।
আইনমন্ত্রী মার্কো বুশমান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে গর্ভপাত করাতে চান এমন নারীদের সচেতন করাটা চিকিৎসকদের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে করা হতো। এমনকি জরিমানাও দিতে হতো তাদের। নারীদের প্রতি অবিশ্বাস এবং ডাক্তারদের প্রতি অবিশ্বাসের সময় এবার শেষ।”
১৯৯৬ সালের পর থেকে জার্মানিতে গর্ভপাতের সর্বনিম্ন হার দেখা গিয়েছে ২০২১ সালে। ফেডারেল পরিসংখ্যান অফিসের মতে, ২০২১ সালে প্রায় ৯৪ হাজার গর্ভপাত হয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৪ শতাংশ কমেছে এবং এক দশক ধরে গর্ভপাতের হারের নিম্নমুখী প্রবণতারই অংশ।
বিএসডি/ এমআর