ডেস্ক রিপোর্ট
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য একটি অতি পরিচিত সমস্যা। বেশির ভাগ মহিলাই সাধারণত এ সময় কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পান। এই সময় এমনিতেই নানা ধরনের সমস্যা থাকে। এরপর যদি কোষ্ঠকাঠিন্যে থাকে তাহলে গর্ভবতীর শরীর ও মন ভালো থাকে না। পেটে সব সময় একটা অস্বস্তি ভাব থাকলে কারো ভাল লাগার কথা নয়। গর্ভাবস্থায় নানা দুশ্চিন্তা থাকে। এসব সমস্যা দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দেয়।
গর্ভাবস্থায় জরায়ু বড় হতে থাকে। এটি তখন বৃহদন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এই কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য এ সময় অনেক বেড়ে যায়। আবার গর্ভাবস্থায় খাবার রুচি অনেক সময় কমে যায়। আঁশ জাতীয় খাবার কম গ্রহণ কিংবা প্রয়োজন মতো পানি পান না করার কারণেও অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় শারীরিক পরিশ্রম হয়না। ফলে সমস্যাটি বেড়ে যায়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে মুক্তি পেতে সারা দিনে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পানি আমাদের দেহের জন্য নানা উপকার করে। যথেষ্ট পানি পান না করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। এ কারণে প্রচুর পানি পান করতে হবে। দিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। আঁশ যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। ফলমূল শাকসবজিতে প্রচুর আঁশ থাকে। এরপরেও কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে সিরাপ খাওয়া যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় হাল্কা ব্যায়াম করা উচিত। এতে অনেকের উপকার হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিজে খুব জটিল রোগ না হলেও এর কারণে নানারকম জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই আগে থেকেই সাবধান হতে হবে। গর্ভাবস্থায় এমন হলে দেরী না করে দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে।
বিএসডি/এমএম